03 May, 2024
BY- Aajtak Bangla
ওজন কমাতে বা বাড়ানোর জন্য প্রথমে সঠিক ওজন জানা জরুরি। ওজন পরীক্ষা করার জন্য ওয়েট মেশিন ব্যবহার করা হয়, কিন্তু যখন প্রতিবার ওজন পরিমাপ ভিন্ন হয়, তখন তা বিভ্রান্তিকর হয়ে ওঠে।
অনেক সময় মানুষ যন্ত্রকেই খারাপ বলতে শুরু করে। আপনার ক্ষেত্রেও যদি এমনটি হয়, তাহলে বুঝবেন মেশিনটি খারাপ নয়, তবে ওজন পরীক্ষা করার সময় ভুল।
পুষ্টিবিদ ও ডায়েটিশিয়ানরা জানিয়েছেন, কখন ওজন মাপা উচিত নয়।
খাওয়ার পরপরই ওজনে ওঠানামা করতে পারে। খাওয়ার পরপরই যখন আপনি আপনার ওজন পরীক্ষা করেন, তখন আপনি শুধুমাত্র আপনার শরীরের ওজনই নয়, আপনি যে খাবার খেয়েছেন তার ওজনও পরীক্ষা করছেন। এ কারণে শরীরের ওজন ভুল হয়ে যায়।
চাল কুমড়োতে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকায় এটি পেট এবং অন্ত্রের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
পিরিয়ডের আগে এবং চলাকালীন হরমোনের পরিবর্তনগুলি ওয়াটার রিটেনশনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা ওজন রিডিংকে প্রভাবিত করতে পারে।
তীব্র ব্যায়ামের সময়, ঘামের কারণে আপনার শরীরে জল কমে যেতে পারে, যা সাময়িকভাবে ওজন হ্রাস করতে পারে। আপনি জল পান করে রিহাইড্রেট হলে ওজন পরিবর্তন হতে পারে।
ভ্রমণের সময় খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন, হাইড্রেশন এবং টাইম জোনের কারণে ওজনে সাময়িক পরিবর্তন হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কোথাও ভ্রমণ থেকে ফেরার পর আপনার ওজন পরীক্ষা করা এড়িয়ে চলুন।
অসুস্থতা বা ওষুধের কারণে ফ্লুইড রিটেনশন হতে পারে, যার ফলে ওজন সঠিক ভাবে মাপা প্রভাবিত করতে পারে।
বাইরের বা উচ্চ-সোডিয়াম খাবার খাবারে অতিরিক্ত নুন থাকে, যা অস্থায়ী ওয়াটার রিটেনশন তৈরি করে।
সারা দিন তরল জিনিস পান করার পাশাপাশি শরীরের স্বাভাবিক ওঠানামার কারণে সন্ধ্যায় অতিরিক্ত ওজন হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, রাতের ডিনারের পর আপনার ওজন পরীক্ষা করা এড়িয়ে চলুন।
সঠিক ওজন পেতে, আপনার সকালে খালি পেটে আপনার ওজন পরীক্ষা করা উচিত। কখন আপনার ওজন পরীক্ষা করতে হবে তা জানা আপনাকে আরও ভাল সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।