30 AUGUST,, 2024
BY- Aajtak Bangla
হরমোন বিষয়ে আমরা সবাই কিছু না কিছু পড়েছি, তাই আমাদের শারীরিক সুস্থতা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে হরমোনের গুরুত্ব বিষয়ে আমরা সবাই কমবেশি জানি।
তবে আমরা অনেকেই জানি না, হুট করে ওজন বৃদ্ধি হলে এর জন্য দায়ী হতে পারে এক বিশেষ হরমোন। এছাড়াও অনিচ্ছাকৃতভাবে ওজন হ্রাস, অপর্যাপ্ত ঘুম, বমি বমি ভাব, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা ধরনের সমস্যার পেছনেও এই ‘কর্টিসল’ নামক হরমোনের বিশাল ভূমিকা রয়েছে।
প্রচলিতভাবে ‘স্ট্রেস হরমোন’ নামে পরিচিত কর্টিসল একটি গ্লুকোকর্টিকয়েড হরমোন।
স্ট্রেস কিংবা দুশ্চিন্তায় থাকলে আমাদের শরীর প্রচুর পরিমাণে এই হরমোন নিঃসরণ করে। ফলে একে সাধারণত স্ট্রেস হরমোন বলা হয়।
তবে আরও নানা কারণে এই হরমোন উদ্দীপিত হতে পারে। কর্টিসল আমাদের দেহের প্রায় সব টিস্যুর সঙ্গে জড়িত। অর্থাৎ আমাদের দেহের প্রায় সব টিস্যুর কার্যকলাপেই ভূমিকা রাখতে পারে এই কর্টিসল।
কিডনির ওপর অবস্থিত এড্রেনাল গ্রন্থি থেকে নিঃসরিত এই হরমোন আমাদের দেহকে প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন থেকে রক্ষা করে। একই সঙ্গে আমাদের পেশি, যকৃত, হাড় ও চর্বির বিপাকক্রিয়া (মেটাবলিজম) নিয়ন্ত্রণ করে। কোন পরিস্থিতিতে দেহের কোন টিস্যুর কীভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা উচিত, তা–ও নিয়ন্ত্রণ করে এই কর্টিসল।
আমাদের আরও অনেক শারীরবৃত্তীয় কাজে কর্টিসলের ভূমিকা রয়েছে। যেমন— স্ট্রেস কিংবা দুশ্চিন্তার সময়ে আপনার দেহের প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা। ধনে গুঁড়ো
দেহের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করা এবং শর্করা, আমিষ ও স্নেহজাতীয় খাবার দেহের কোন কাজে ব্যবহার হবে, তা ঠিক করে দেওয়া কর্টিসল হরমোনের কাজ।
কোনো ধরনের আঘাত কিংবা প্রদাহ কমিয়ে আনে, রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে কর্টিসল হরমোন। রক্তে চিনি বা গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা, স্লিপ সাইকেল বা নিদ্রা চক্র নিয়ন্ত্রণ করাও এর কাজ।
সারা দিন বদ্ধ ঘরের মধ্যে বসে থাকলে মনমেজাজ এমনিতেই খারাপ হয়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, সূর্যের আলো কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই দিনের মধ্যে মাত্র আধ ঘণ্টা গায়ে রোদ লাগাতেই হবে।
হরমোন ক্ষরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে বলেন চিকিৎসকেরাই। খুব পরিশ্রমসাধ্য ব্যায়াম না হলেও নিয়মিত হাঁটা, স্ট্রেচ করা, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটার মতো কসরত কর্টিসল ক্ষরণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
মানসিক চাপ বা উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিপ ব্রিদিং অভ্যাস করতে বলেন অনেকেই। সুখাসনে বসে, শান্ত এবং গভীর ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার পদ্ধতিকেই ডিপ ব্রিদিং বলা হয়। এই অভ্যাসে স্নায়ুর উত্তেজনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।