23 MAY, 2024
BY- Aajtak Bangla
এবার বাংলার পুকুরেই হবে ইলিশ মাছের চাষ। কিছুদিনের মধ্যেই এই মাছের অ্যাকোয়াকালচার শুরু করা হবে।
আর এই প্রকল্পের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলকে।
জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য রহড়া ফ্রেশওয়াটার জোন, কাকদ্বীপের ব্যাকওয়াটার জোন এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের ইন্টারমিডিয়েট জোনকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইলিশ মাছের খাদ্য হিসাবে জু প্লাংটন ব্যবহার করছেন।
পাইলট প্রকল্প হিসেবে আইসিএআর-সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিসারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিফরি) পুকুরে ইলিশ মাছ চাষ করেছে।
মাত্র ৩৬ মাসে একটি ইলিশের ওজন হয়েছে ৬৮৯ গ্রাম। কেন্দ্রীয় মৎস্য গবেষণা সংস্থার দাবি, নদীতেও এই সময়কালে একটি ইলিশের ওজন এত গ্রাম হয় না।
তাই এমন সাফল্য গোটা দেশে নতুন রেকর্ড। রাজ্যের গঙ্গায় আগে প্রচুর ইলিশ মাছ পাওয়া যেত। বর্তমানে গঙ্গায় ইলিশের জোগান কমেছে। তাই গঙ্গায় ইলিশ বাড়াতে আগেই উদ্যোগী হয়েছে সিফরি।
উচ্চ প্রবাহ থেকে নিম্ন প্রবাহ পথে ছোট ইলিশ ছাড়া হয়েছে। এছাড়াও, গঙ্গা থেকে পূর্ণবয়স্ক ফিমেল ইলিশ তুলে ডাঙায় ব্রিডিং করানো হয়েছে।
কয়েক লক্ষ ইলিশের ডিমপোনা ছাড়া হয়েছে। নদীর পাশাপাশি, পুকুরেও কীভাবে ইলিশ মাছ চাষ করা যায়, তারও উদ্যোগ নিয়েছে সিফরি। আইসিএআর-এনএএসএফ প্রকল্পে সিফরি কর্তৃপক্ষ রাজ্যের তিন জায়গায় পুকুরে ইলিশ চাষ শুরু করে।