BY- Aajtak Bangla
2 JULY, 2024
চিকিৎসকেরা বলেন, টাটকা মাছ না খেলের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। তবে শুঁটকি মাছের জনপ্রিয়তা একেবারে অন্য মাত্রায়। বিশেষত পূর্ববঙ্গীয়দের এই মাছ খুবই প্রিয়।
এদিকে বর্ষা আসতে না আসতেই ইলিশ ছেয়ে গেছে বাজারে। ইলিশের পছন্দ করে না এমন বাঙালি বোধ হয় খুব কমই আছে।
ইলিশ ভাপা, সর্ষে ইলিশ, দই ইলিশ, ইলিশ পাতুরি, ইলিশ বিরিয়ানি, ইলিশ মাছ ভাজা কিংবা ইলিশের ডিমের পদের সঙ্গে ইলিশ শুঁটকিও যথেষ্ট জনপ্রিয়।
তবে বেশীরভাগ দোকানে রুপচাঁদা, লইট্টা, ছোট চিংড়ির শুঁটকি পাওয়া যায়। বাড়িতেই বানানো সম্ভব ইলিশ শুঁটকি। জানুন ইলিশ মাছের শুঁটকি তৈরির পদ্ধতি।
প্রথমে ইলিশের আঁশ ছাড়িয়ে মাছের ভেতরের কানকো বের কর, পাখনা ছেঁটে শুধু লেজটুকু রাখুন। এবার মাছ খুব ভাল করে ধুয়ে, ১ ঘণ্টার জন্য জল ঝরতে দিন।
কিচেন টিস্যু দিয়ে বাড়তি জল শুষে নিন। খেয়াল রাখতে হবে মাছে যেন কোনও জল না থাকে।
জল ঝরলে, মাছের গায়ে খুব ভাল ভাবে হলুদ-নুনের মিশ্রণ মেশান। যে কৌটোয় মাছ সংরক্ষণ করবেন, সেটার নিচে নুন দিয়ে একটা প্রলেপ তৈরি করুন।
এরপর এক লেয়ার মাছ দিয়ে, আবার এক লেয়ার নুন দিন। নুন বেশি পরিমাণে না দিলে মাছ নষ্ট হয়ে যাবে। এবার কৌটোর মুখ ভাল করে সিল করুন, যাতে বায়ু ঢুকতে না পারে।
এই পাত্র ঘরের অন্ধকার ও ঠাণ্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করুন। মাছ ভাল থাকবে অনেক দিন। তবে নুন দেওয়া মাছ এক মাসের পর থেকে খেতে ভাল লাগে।
বেশীরভাগ নুন জল হয়ে গেলে, তখন এই জলটা ছেঁকে মাছটি তুলে আরও একবার জল ঝরতে দিন ২ ঘণ্টার জন্য। এরপর মাছটিকে একটা বেতের ডালায় রেখে ২ দিন খুব কড়া রোদে শুকাতে দিন।
ঘরের পুরনো মশারি বা নেট দিয়ে পাত্রটি ভালভাবে ঢেকে দড়ি পাকিয়ে মুখটা বেঁধে দিন। এবার ৪- ৫টি কালো মুরগির পালক মাছ শুকানোর স্থানে দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে দিন। এতে কাক বা কোনও পাখি কাছে আসবে না।
২ -৩ দিন রোদে দেওয়ার পর একটা পুরনো মাটির পাত্রে নোনা মাছ রেখে মুখটা পরিচ্ছন্ন কাপড় দিয়ে বেঁধে, ঘরের যে স্থানে রোদ আসে এমন শুকনো কোনায় রেখে দিন।