BY- Aajtak Bangla

এই ৬ অভ্যাসে নষ্ট হয় সুখের হরমোন, আপনারও আছে নাকি? 

24 Dec, 2024

হরমোনের ভারসাম্যই সকল সুখের মূল! হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থেকে তৈরি হয় শারীরিক ও মানসিক নানা জটিলতা। জেনে নেওয়া যাক এমন ৬ অভ্যাস, যাঁর কারণে নষ্ট হচ্ছে হরমোনের ভারসাম্য।

এর ফলে আমাদের মস্তিষ্কে সুখানুভূতি তৈরি হয়। যেমনটি হয় প্রাণ খুলে হাসলে, পছন্দের খাবার খেলে, গান শুনলে, প্রিয় মানুষের সাহচর্যে গেলে, প্রিয় দল খেলায় জিতলে, অফিসে বস বা সহকর্মীর প্রশংসা পেলে, প্রেমে পড়লে। 

সকালের খাবারে অন্তত ২০ গ্রাম প্রোটিন না খাওয়া

সকালবেলা কর্টিসল নিঃসৃত হয় সবচেয়ে বেশি। সকালের টিফিনে যদি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া হয়, তাহলে তা কর্টিসলের নিঃসরণ কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

জাঙ্ক ফুড, প্রসেসড ফুড আর অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টিজাত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা এতে প্রচুর পরিমাণে ইনসুলিন উৎপন্ন হয়, যার ফলে চুল পড়া, ত্বক ও ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়! 

মেলাটোনিন আমাদের ঘুমের চক্র ঠিক রাখে। দিনের আলোয় মেলাটোনিন নিঃসরণ হয় না বললেই চলে। তাই ভোরের আলো দেখে আপনি ঘুমাতে গেলেন, তাতে শরীরের স্বাভাবিক হরমোন নিঃসরণ ভারসাম্য হারাবে।

সেরোটোনিন একধরনের ‘হ্যাপি হরমোন’। মেজাজ নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও ঘুম, হজমক্ষমতা, শিক্ষা, ক্ষুধা, এমনকি শরীরের মেটাবলিজম সিস্টেম সচল রাখতেও সহায়তা করে সেরোটোনিন। সূর্যের আলো বা রোদে থাকলে, প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকলে, যোগব্যায়াম করলে এই হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়।

হাসলে আয়ু বাড়ে, হার্ট ভালো থাকে, ওজন কমে, শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, হজমক্ষমতা বাড়ে। আর এসবের সঙ্গে ভালো থাকে আমাদের মন। তাই মন খুলে হাসুন।

অন্যের জন্য কিছু করুন। বাড়ির কাজে হাত লাগান। গৃহকর্মী নিশ্চয়ই আপনার কাজে সহায়তা করবেন, কখনো কখনো আপনিও তাঁর নির্ধারিত কাজে হাত লাগাতে পারেন।

প্রাণীদের সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক চাপ সামলানোর এক দারুণ উপায়। প্রকৃতির মধ্যেও কাটাতে পারেন কিছুটা সময়। এ ধরনের কাজেও ডোপামিন নিঃসরণ হয়। বাড়িতে পোষা প্রাণী থাকলে সেগুলোকে সময় দিন রোজ। পথের প্রাণীদের জন্যও কিছু করতে পারেন।

আপনার ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল হোন। সম্পর্কের বন্ধন যত অটুট থাকবে, বিশেষ করে ব্যক্তিগত সম্পর্কে আপনি যতটা নিরাপদ বোধ করবেন, শরীরের ডোপামিনের ভারসাম্য রাখা ততই সহজ হবে।

ইতিবাচক অনুভূতিগুলো খুব সূক্ষ্মভাবে আমাদের কর্মোদ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন অফিসে প্রশংসা পেলে সেই কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। সেই কাজে নিজের দক্ষতার ওপর আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং কাজটি ভবিষ্যতে আবার করার সুযোগ পেলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।