4 January 2024
BY- Aajtak Bangla
কিডনির পাথরকে কিডনি স্টোন বলে। যখন অতিরিক্ত লবণ প্রস্রাবের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির শরীর থেকে অপসারণ হয় না এবং কিডনিতে জমা হয়, তখন পাথর তৈরি হয়।
কিডনিতে পাথর হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হল কম জল খাওয়া করা। এ ছাড়া অতিরিক্ত নুন খেলেও কিডনিতে পাথর হতে পারে।
অনেক সময় মানুষের কিডনিতে ছোট ছোট পাথর তৈরি হতে থাকে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। যেখানে অনেক সময় পাথর প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হতে না পেরে ইউরেটার বা মূত্রাশয়ে আটকে যায়।
সাধারণত ৫ মিমি বা তার কম আকারের একটি কিডনি পাথর সহজেই প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে পারে, যেখানে এর চেয়ে বড় পাথর বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
৫ মিলিমিটারের পর পাথরের আকার যত বাড়তে থাকে, প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
পাথর, কিডনি ফুলে যাওয়া বা সংক্রমণের কারণে প্রস্রাবে রক্ত পড়লে এই অবস্থায় অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
যাইহোক, কখনও কখনও ৪ মিমি পাথর মূত্রনালী বা মূত্রাশয়ে আটকে যায় এবং কিছু ক্ষেত্রে এমনকি ১০ মিমি পাথর প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। যদিও এটি খুব কমই ঘটে।
যদি একটি কিডনি পাথর মূত্রনালী বা মূত্রাশয়ে আটকে যায়, তবে মানুষের অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। লেজার ব্যবহার করে বের করা যায়। এটিতে কোন ধরণের কাটাকুটির প্রয়োজন হয় না।
পাথরের আকার বড় হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরিয়ে ফেলতে হবে। বিশেষ করে যদি পাথরের আকার ২০ মিমি বা তার বেশি হয়, তবে লেজার এবং অন্যান্য ধরণের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এটি বের করা যেতে পারে।