18 SEPTEMBER 2024

BY- Aajtak Bangla

আপনি শারীরিক ও মানসিকভাবে কতটা ফিট? এভাবে নিজেই পরীক্ষা করুন

আমরা প্রতিদিন হাঁটছি, কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনি যে পথে হাঁটছেন তা আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দিতে পারে? 

 আপনার চলাফেরা থেকে আপনার গতি, আপনার শরীর এবং মনের অবস্থা সনাক্ত করা যেতে পারে। স আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে।

বিজ্ঞানীরা মনে  করেন যে হাঁটার ধরণ শারীরিক সুস্থতা এবং মানসিক অবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হতে পারে।

সবচেয়ে সহজ উপায় যার মাধ্যমে আমরা আমাদের স্বাস্থ্যের মূল্যায়ন করতে পারি তা হল হাঁটার গতি। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে যারা ধীরে ধীরে হাঁটছেন তাদের প্রায়ই বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা যায়।

 গবেষকরা ধীর হাঁটাকে মানসিক সমস্যা, পেশী দুর্বলতা এবং শারীরিক পতনের সঙ্গে  যুক্ত করেছেন।

 যারা দ্রুত হাঁটাচলা করে তাদের হৃদরোগের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে। এই ধরনের লোকদের সাধারণত  ফুসফুসের ভাল কার্যকারিতা এবং শক্তিশালী পেশী কর্মক্ষমতা থাকে।

হাঁটার পথ মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রতিফলিত করে। উদ্বেগ বা বিষণ্ণতায় ভুগছেন এমন লোকেরা প্রায়শই নত কাঁধ এবং মাথা নীচু করে হাঁটেন।

একটি সমীক্ষায়  দেখা গেছে যে যারা সোজা হয়ে হাঁটে তাদের সুখী অনুভূতি হয়, অন্যদিকে যারা ঝিমিয়ে হাঁটে তাদের মানসিক চাপ বেশি থাকে। মানসিক অবসাদ এবং চাপ হাঁটার অভ্যাসকেও প্রভাবিত করতে পারে।

মানসিক ক্লান্তির লক্ষণগুলির মধ্যে থাকতে পারে পা টেনে চলা, অস্বাভাবিক চালচলন বা অনিয়মিত হাঁটার ধরণ। এই লক্ষণগুলিতে মনোযোগ দিয়ে, আপনি বুঝতে পারেন যে আপনি সম্ভবত বেশি মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন।

হাঁটা শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের প্রতিফলন নয়, এটি বার্ধক্য প্রক্রিয়াকেও ধীর করে দিতে পারে। ফ্রন্টিয়ার্স ইন পাবলিক হেলথ- এ প্রকাশিত গবেষণা  দেখায় যে নিয়মিত, দ্রুত হাঁটা জীবনকে দীর্ঘায়িত করতে পারে। এটি হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে, মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে এবং মানসিক অবস্থা পরিষ্কার রাখে।

বিপরীতভাবে, যারা ধীরে ধীরে চলে তাদের বিপরীত অভিজ্ঞতা হতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে  ধীরে ধীরে হাঁটা স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। তাড়াতাড়ি হাঁটার অভ্যাস করা একটি সহজ কিন্তু কার্যকর কৌশল হতে পারে যা বয়স-সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে।

আপনার হাঁটার গতি বাড়ানোর জন্য শুধু দ্রুত হাঁটা যথেষ্ট নয়, এর জন্য সম্পূর্ণ ফিটনেসের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।

এরজন্য  প্রতিদিনের হাঁটার দূরত্ব বা গতি বাড়ানো উচিত। নিয়মিত থাকা এবং ধীরে ধীরে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ান গুরুত্বপূর্ণ।