31  OCTOBER 2024

BY- Aajtak Bangla

সপ্তাহে একদিন কতটা মটন খেলে শরীর থাকবে সুস্থ-সবল? না জানলে জানুন এখনি

বাঙালি পাঁঠার মাংস প্রিয় জাতি। তাই তো আমাদের মধ্যে অনেকেই রবিবার সকালে মটনের দোকানে গিয়ে লাইন দেন। ভিড় ঠেলে মাংস কিনে হাসিমুখে বাড়ি ফেরেন।

এরপর সেই মাংস ভালো করে ধুয়ে কষিয়ে চলে রান্না। সবশেষে পরিবারের সকলে মিলে গরম গরম ভাতের সঙ্গে ধোঁয়া ওঠা পাঁঠার মাংসের ঝোল মেখে করা হয় রসনাতৃপ্তি। এটাই হল বাঙালি বাড়ির রবিবার যাপন।

তবে দুঃখের বিষয় হল, আমাদের অতি ভালোবাসার মটন কিন্তু শরীরের জন্য খুব একটা উপকারী নয়। তাই প্রতি সপ্তাহে এই মাংস খেতে হলে হিসেব করে মুখে তোলা প্রয়োজন। নইলে কিন্তু বড়সড় বিপদের ফাঁদে পড়তে পারেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক  সপ্তাহে একদিন কতটা পাঁঠার মাংস খাওয়া উচিত। তারপর সেই হিসেব মেনেই মটন খান। এই কাজটা করলেই কিন্তু আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।

পাঁঠার মাংসের মতো রেডমিট নিয়মিত খেলে হার্টের অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। কারণ, এই রেডমিটে রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান রক্তে কোলেস্টেরল লেভেল এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে। যার ফলে বিপদে পড়ে হার্ট। পিছু নিতে পারে হার্ট অ্যাটাকের মতো জটিল সমস্যা।

 শুধু তাই নয়, এই মাংস হজম করাও কিন্তু সহজ কাজ নয়। সেই কারণে মটন খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো জটিল সমস্যায় ভোগার আশঙ্কা বাড়ে। তাই এবার থেকে পাঁঠর মাংস খাওয়ার সময় অবশ্যই সচেতন থাকুন।

​বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাঁঠার মাংস কিন্তু শরীরের জন্য বেশ খারাপ। তাই এই মাংস যতটা সম্ভব কম পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করুন। তবে কারও শরীরে যদি কোনও রোগ না থাকে, তাহলে তাঁরা মাসে ৪০০ গ্রামের মতো এই মাংস খেতে পারেন। অর্থাৎ প্রতি রবিবার ১০০ গ্রামের মতো মটন খেলে তেমন একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে এর থেকে বেশি পরিমাণে খেলেই বিপদে পড়বেন।

​ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, হাই প্রেশারের মতো রোগগুলি হল নীরব ঘাতক। অর্থাৎ এই রোগগুলি আপনার অজান্তেই শরীরের ক্ষতি করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তাই এসব রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, নিয়মিত পাঁঠার মাংস খেলে আবার এসব রোগকে বশে রাখতে পারবেন না। উল্টে শরীরের ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।

তাই এসব রোগ থাকলে  পাঁঠার মাংসের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। তবে খুব মন চাইলে ছ’মাসে একবার এক টুকরো মটন খেতেই পারেন। তাতে কিন্তু খুব একটা সমস্যা হবে না। তবে এর বেশি নয়।

পাঁঠার মাংস এমনিতেই ফ্যাটের ভাণ্ডার। এর উপর আবার যদি এই মাংস কষিয়ে রান্না করে খান, তাহলে যে শরীরের দফারফা হতে বেশি সময় লাগবে না। এই ভুলের সুবাদে হার্ট, কিডনির মতো অঙ্গগুলিও বিপদের ফাঁদে পড়তে পারে। এমনকী পিছু নিতে পারে হজমের সমস্যা।

 তাই এবার থেকে অল্প তেল-মশলা সহযোগে পাঁঠার মাংসের ঝোল রান্না করুন। পারলে এই মাংসের স্টু করেও খেতে পারেন। তাতেও বিপদের আশঙ্কা কমবে।

খুব মাংস খাওয়ার ইচ্ছে হলে মুরগির মাংস খেতে পারেন। এই মাংসের ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম। উল্টে এতে ভালো পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। তাই মটন ছেড়ে এবার থেকে চিকেনকে ডায়েটে জায়গা করে দিন।

এর পাশাপাশি রোজের পাতে ডিম এবং মাছও রাখতে পারেন। এই দুই খাবারও কিন্তু প্রোটিন সহ একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজের আঁতুড়ঘর। তাই এসব খাবার খেলেই সুস্থ থাকবে শরীর। কাছে ঘেঁষবে না একাধিক অসুখ।