12 MAY,2024

BY- Aajtak Bangla

বাচ্চাদের ঝগড়ায় অস্থির? বাবা-মায়েরা সন্তানদের মধ্যে বন্ডিং বাড়ান এভাবে

যদি বাড়িতে একাধিক সন্তান থাকে, তবে প্রথমের বছরগুলিতে পিতামাতার বেশিরভাগ এনার্জি  তাদের মারামারি শেষ করতে ব্যয় হয়।

কিন্তু ভাই-বোনেরা শুধু লড়াই করে না। তারা একে অপরের সামাজিক, মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শৈশবে সুখী সম্পর্ক আছে এমন ভাইবোনরা বড় হয়ে সুখী এবং আত্মবিশ্বাসী হতে পারে।

ভাইবোনের মধ্যে লড়াইয়ের প্রভাব জীবনের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য, আত্মবিশ্বাস এবং সামাজিক দক্ষতার উপর দেখা যায়।

ভাই-বোনের সম্পর্কের আরেকটি দিক আছে। পিতামাতারা যদি তাদের শৈশব থেকেই তাদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা উৎসাহিত করেন, তবে উভয় শিশুই একে অপরের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে জীবনে কেবল এগিয়ে যাবে না, এটি তাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে অভিভাবকরা এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারে-

পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য একই নিয়ম ঠিক  করুন এবং নিশ্চিত করুন যে সমস্ত সদস্য তাদের বয়স ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও সেই নিয়মগুলি অনুসরণ করে।

 নিয়মের এই তালিকায়, একে অপরকে অপমান না করা, চিৎকার না করা, অনুমতি ছাড়া কারও জিনিসপত্র না নেওয়া, একে অপরকে সাহায্য করা ইত্যাদি নিয়মগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনার আচরণ দ্বারা শিশুদের জন্য একটি ভাল উদাহরণ তৈরি করুন।

 ঘরে নতুন সন্তান এলে তার যত্নে বড় ভাই বা বোনকে সম্পৃক্ত করুন। এতে শিশুদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন ও বিশ্বাস বাড়বে।

আপনি কি জানেন, জ্ঞাতসারে বা অজান্তে মা-বাবাও ভাই-বোনের পারস্পরিক প্রতিযোগিতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রতিটি শিশু আলাদা এবং বিভিন্ন গুণ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের মধ্যে তুলনা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

শিশুকে শেখান কীভাবে সঠিক উপায়ে দ্বন্দ্ব সমাধান করতে হয়। ভাই-বোনের সম্পর্ক অন্য সম্পর্কের মতোই। বাচ্চাদের একে অপরের কথা শুনতে শেখান, তাদের অনুভূতি যথাযথভাবে প্রকাশ করুন, অন্য ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করুন এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে  তাদের মতামত উপস্থাপন করুন।

অনেক সময় শিশুরা তাদের অনুভূতি সঠিক ভাষায় প্রকাশ করতে পারে না। কখনও কখনও এর কারণ তাদের লাজুক স্বভাব, আবার কখনও তাদের সামনের ব্যক্তির প্রতি ভয়ের অনুভূতি। বাড়িতে এমন পরিবেশ গড়ে তুলুন যাতে শিশুরা নিশ্চিত বোধ করে যে তারা তাদের ভাই বা বোনের সঙ্গে  সবকিছু শেয়ার করতে পারে এবং অন্য ব্যক্তি এই কারণে তাদের বিচার করবে না।

আপনি যদি আপনার বাচ্চাদের শৈশবকালে বাড়িতে এমন পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হন তবে তারা বড় হওয়ার পরেও তাদের মধ্যে বন্ধন ততটাই মজবুত থাকবে।