20 May, 2025
BY- Aajtak Bangla
অনেক সময়ই দেখা যায় যে আপনার আত্ম অহং-এর কারণে অনেক হওয়া কাজও বিগড়ে যাচ্ছে।
অথবা কারোর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে, কিন্তু আপনার এতটাই ইগো, যে প্রিয়জনের সঙ্গে সেই ঝগড়া মিটিয়ে নেবেন না।
কিন্তু অতিরিক্ত অহং বা ইগো থাকা একেবারেই ঠিক নয়। এতে হিতে বিপরীত হয়।
তাই ইগো নিয়ন্ত্রণে আনতে আপনি কিছু উপায় করতে পারেন। শিখে নিন তাহলে কী করবেন।
কেউ রূঢ় কিছু বললে বা দ্বিমত করলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেবেন না। সব মন্তব্যের উত্তর দেওয়া জরুরি নয়।
ইগো আমাদের বোঝাতে চায়, আমরা ভুল প্রমাণিত হলে আমাদের গুরুত্ব কমে যায়। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। অন্য কাউকে শেষ কথা বলতে দেওয়া, তর্ক না করে চুপ থাকা অনেক সময় বেশি শক্তির কাজ।
নিজের মান বজায় রাখার চেয়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।
সফল হতে চাওয়া ভালো, কিন্তু ‘আরও চাই’ মানসিকতা যদি অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে, তাহলে সেটা ইগোর ইঙ্গিত। মাঝে মাঝে থেমে নিজের অর্জনকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে দেখা, মানসিক শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সব সময় নিজে কেন্দ্রে থাকতে হবে এমন নয়। অন্যদের কৃতিত্ব নিতে দেওয়া, কথা বলতে দেওয়া বা নেতৃত্ব দিতে দেওয়া আপনার মর্যাদাকে ছোট করে না।
সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাওয়া মানে হলো নিজের মনের ভিতরের অনিশ্চয়তার বহিঃপ্রকাশ। জীবন সব সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী চলে না।
যা আপনার নিয়ন্ত্রণে, সেটার যত্ন নিন। বাকি বিষয়গুলো ছেড়ে দিন। এতে মন অনেক হালকা লাগবে।