2 DECEMBER, 2024
BY- Aajtak Bangla
আপনি কি বড় এবং সুন্দর দেখতে রসুন কিনে বাড়িতে রান্নায় ব্যবহার করেছেন? যদি হ্যাঁ হয় তবে এটি আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
কারণ এটি চাইনিজ রসুন। যা পৌঁছে গেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সবজির বাজারে।
আজকাল, চিনা রসুন ভারতের বাজারে নির্বিচারে বিক্রি হচ্ছে, যা ২০১৪ সাল থেকে ভারতে নিষিদ্ধ।
এর বিক্রির আসল কারণ হল যে লোকেরা এটি কিনছে তারা স্থানীয় রসুন এবং এর মধ্যে পার্থক্য করতে অক্ষম। আসুন জেনে নিন কীভাবে আপনি সহজেই চিনা এবং দেশি রসুন সনাক্ত করতে পারবেন।
যখনই বাজার থেকে রসুন কিনবেন, তখন খেয়াল রাখবেন রসুনের কোয়ার সাইজ যেন ছোট হয়, কারণ স্থানীয় রসুন চাইনিজ রসুনের থেকে কিছুটা ছোট হয়।
স্থানীয় রসুনের কোয়া পাতলা, যেখানে চিনা রসুনের কোয়া স্থানীয় রসুনের তুলনায় মোটা। এতে দাগ রয়েছে।
চাইনিজ রসুন দেখতে সাদা এবং চকচকে কারণ এতে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যেখানে দেশি রসুন কিছুটা ক্রিম বা হলুদাভ। এর কোয়া ঘষলে হাতে সামান্য আঠালোভাব থাকে।
আপনি যদি রসুন কিনে থাকেন তবে একটি কোয়া ভেঙে গন্ধ নিন। দেশি রসুনের গন্ধ শক্তিশালী এবং তীক্ষ্ণ, যেখানে চিনা রসুনের তেমন তীব্র গন্ধ নেই।
চাইনিজ রসুন খুব সহজে খোসা ছাড়ান যায়, তাই মহিলারা প্রায়শই বাজার থেকে কিনে থাকেন। দেশি রসুনের সূক্ষ্ম কোয়ার কারণে খোসা ছাড়তে একটু কষ্ট হয়।
চিন ব্যাপক হারে রসুন উৎপাদন করে। এখানে রসুনের বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য কৃত্রিম পদার্থ ব্যবহার করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। চিনা রসুনে জিঙ্ক এবং আর্সেনিকের মতো ক্ষতিকারক ধাতুও রয়েছে, যা ক্যান্সার সৃষ্টি করে।
এই কারণেই ২০১৪ সাল থেকে ভারতে চিনা রসুন নিষিদ্ধ। এই রসুন খেলে পেটের রোগ যেমন আলসার, ইনফেকশন ইত্যাদি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া এই রসুন কিডনির ওপরও খারাপ প্রভাব ফেলে।