13 NOVEMBER, 2024
BY- Aajtak Bangla
অভিভাবকত্ব সহজ নয়। সন্তানের ছোট-বড় প্রতিটি অভ্যাস বাবা-মাকে খেয়াল রাখতে হবে, শিশু কী খায়, তার আচরণ কেমন হয়, সে কী বলে এবং কীভাবে লোকের সামনে কথা বলে এবং শোনে তার দায়িত্ব বাবামায়ের।
এমন পরিস্থিতিতে অনেক সময় শিশুরা খারাপ অভ্যাসের মধ্যে পড়ে গেলে বা কথা মেনে চলা ও ভালো আচরণ করা বন্ধ করে দিলে অভিভাবকদের বকাঝকা করতে হয় বা অনেক সময় মারধরও করতে হয়।
কিন্তু, এই বকাঝকা ও মারধর শিশুর মন ও মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, এখানে জেনে নিন কীভাবে একটি শিশুকে বকাঝকা বা মারধর না করে শাসন করা যায়।
শিশুকে ছোট থেকেই তাদের ভালো এবং খারাপ আচরণের মধ্যে পার্থক্য শেখানো গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য শিশুদের ভালো আচরণের প্রশংসা করা জরুরি। যাতে তারা শুধুমাত্র আপনার প্রশংসা পাওয়ার জন্যও ভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত থাকে।
কখনও কখনও শিশুদের তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন। যদি শিশুরা খারাপ আচরণ করে বা এমন কিছু করার জন্য জেদ করে যা তাদের জন্য খারাপ প্রমাণিত হতে পারে, তাহলে শিশুকে এই কর্মের পরিণতি জানিয়ে কী করতে হবে তা বেছে নিতে দিন।
এমতাবস্থায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাদের নিজেদেরই হবে। যদি তারা ব্যর্থ হয়, তারা পরের বার একই ভুল করার থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে।
শুধু বাচ্চাদের ভালো কাজ করতে বলা, এইরকম কাজ করো, এটা করো বা করো না, যথেষ্ট নয়। শিশুদের আচার-আচরণ উন্নত করতে হলে আপনার আচরণও ভালো রাখতে হবে।
এমনটি হওয়া উচিত নয় যে আপনি নিজেই চিৎকার করে কারও সঙ্গে কথা বলবেন এবং সন্তানের কাছ থেকে ভাল আচরণ আশা করবেন। পিতামাতারা শিশুদের প্রথম শিক্ষক এবং শিশুরা অবশ্যই তাদের পিতামাতার থেকে অনেককিছু শেখে।
অনেক সময় বাবা-মা সন্তানের খারাপ আচরণ ও ভুল দেখেন কিন্তু তার আচরণের পেছনের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন না। কিন্তু, অভিভাবকদের সন্তানদের জিজ্ঞাসা করা উচিত যে তাদের রেগে যাওয়া বা খারাপ আচরণের কারণ কী।
এর মাধ্যমে শিশুরা তাদের মতামত খোলাখুলিভাবে প্রকাশ করতে সক্ষম হয় এবং কোনো সমস্যা হলে তা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে।