25 December, 2023
BY- Aajtak Bangla
'গীতাপাঠের চেয়ে ফুটবল খেলা ভালো।' স্বামীজির এই বাণী নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিবাদ। আসলে তিনি কী বলেছিলেন?
পরাধীন ভারতে এই কথা বলেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। যে কথার সারমর্ম বুঝতে গেলে পুরোটা জানতে হবে।
স্বামীজি আক্ষেপ করেছিলেন, আলস্য ও শারীরিক দুর্বলতার জন্য ভারতের যুব সমাজ এগোতে পারছে না।
তিনি বলেছিলেন,'দুর্বল মস্তিষ্ক কিছু করিতে পারেনা; আমাদিগকে সবল মস্তিষ্ক হইতে হইবে- আমাদের যুবকগণকে প্রথমত সবল হইতে হইবে, ধর্ম পরে আসিবে।'
'হে আমার যুবক বন্ধুগণ, তোমরা সবল হও। গীতাপাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলিলে তোমরা স্বর্গের আরো নিকটবর্তী হইবে।' এবার ব্যাখ্যা জানুন-
তিনি ব্যাখ্যা দিলেন, আমি জানি, সমস্যা কী- কাঁটা কোথায় বিঁধিতেছে। তোমাদের শরীর একটু শক্ত হইলে তোমরা গীতা আরো ভাল বুঝিবে।
'তোমাদের রক্ত একটু তাজা হইলে তোমরা শ্রীকৃষ্ণের মহতী প্রতিভা ও মহাণ বীর্য ভাল করিয়া বুঝিতে পারিবে।'
'যখন তোমাদের শরীর তোমাদের পায়ের উপর দৃঢ়ভাবে দন্ডায়মান হইবে, যখন তোমরা নিজেদের মানুষ বলিয়া অনুভব করিবে, তখনই তোমরা উপনিষদ ও আত্মার মহিমা ভাল করিয়া বুঝিবে।'
অর্থাৎ গীতা পড়তে বারণ করেননি। বরং স্বামীজি বলেছেন, গীতা ও উপনিষধকে বুঝতে গেলে সবল হতে হবে। দুর্বল মস্তিষ্ক থাকলে আত্মস্থ করা যাবে না।
গীতায় শ্রীকৃষ্ণ নিষ্কাম কর্মযোগের কথা বলছেন। যে পথে চলতে গেলে মনকে বশে রাখতে হবে। থাকতে হবে বাহুতে বল। সেটাই সহজ ভাষায় বলেছেন স্বামীজি।