BY- Aajtak Bangla
BY- Aajtak Bangla
20 September, 2024
দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। দেবী আরাধনার অন্য়তম অংশ হল পদ্ম ফুল।
শরত্কালে গ্রামেগঞ্জে দিঘি পদ্মে ভরে যায়। প্রকৃতির সেই অপরূপ সৌন্দর্য্যের কোনও তুলনা হয় না।
চাইলে আপনার বাড়িতেও পদ্ম ফুল ফোটাতে পারেন। প্রচুর জলের প্রয়োজন নেই। বাড়িতে মাঝারি থেকে বড় আকারের গামলাতেই পদ্ম গাছ করা সম্ভব।
দশকর্মার দোকানে পদ্মের বীজ পাওয়া যায়। সেই বীজ থেকে গাছ করা যায়। বীজের মুখ চেঁচে তা জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এটি দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার।
এই পদ্ধতিতে যে জাতের পদ্ম হয়, তার গাছ অনেকটাই বড়। ফলে অনেক বড় গামলা বা চৌবাচ্চায় করলে, তবেই এই পদ্ধতিতে করবেন।
বর্তমানে বেশিরভাগ ভাল নার্সারিতেই পদ্মের চারা পাওয়া যায়। বিভিন্ন ভ্যারাইটি, হাইব্রিড, রঙের পদ্ম চারা পাবেন।
পদ্ম গাছের গোড়া জলের তলায় থাকা মাটির ভিতরে থাকে। সেখানেই শিকড় বিস্তার করে। এদিকে গাছের পাতা জলের উপরে ভেসে থাকে।
মাঝারি থেকে বড় গামলা নিন। গামলা আকৃতির বড় মাটির টবও নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সিমেন্ট দিয়ে টবের গর্ত বুজিয়ে নিতে হবে।
নার্সারি থেকে ভাল, উর্বর মাটি কিনুন। গামলার তিন-চতূর্থাংশ জুড়ে মাটি ভরুন। এবার ধীরে ধীরে জল ভরতে শুরু করুন।
এবার ২-৩ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন। জল থিতিয়ে গেলে তারপর পদ্মের চারা পুঁততে শুরু করুন।
প্রথম ২ দিন আংশিক রোদে রাখবেন। তবে তারপর থেকে রোজ অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা সরাসরি কড়া রোদ লাগে, এমন জায়গায় গামলাটি রাখবেন।
২-৩ দিন অন্তর গামলার জল বদলাবেন। গামলা কাত করে বেশিরভাগ জল ফেলে দেবেন। তারপর ফের ধীরে ধীরে কানা পর্যন্ত জল ভরবেন।
বড় গামলায় গাছ করলে ২-৩টি গাপ্পি, গাম্বুসিয়া মাছ ছাড়তে পারেন। দেখতেও মজা লাগবে। জমা জলে মশাও হবে না।
এরপর ধৈর্য্যের পালা। গাছ বড় হয়ে ফুল আসতে ২-৩ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই অধৈর্য্য হবেন না।