BY- Aajtak Bangla
22 December 2023
r
২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।
গত সেপ্টেম্বরে জি-২০ সম্মেলনের মেনুতে বিভিন্ন রাষ্টনায়কদের জন্যও ছিল বাজরার পদের ছড়াছড়়ি।
বাজরার গুণাগুণ প্রচার করতে কলম ধরেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই নিয়ে হিন্দি ভাষায় একটি গানও লিখে ফেলেছেন তিনি।
বাজরার তৈরি কেক কিন্তু স্বাস্থ্যকর। ক্রিসমাসের সময় আপনিও চাইলে এই বাজরার তৈরি কেক বানিয়ে নিতে পারেন।
বাজরার কেক গ্লুটেন ফ্রি। পাশাপাশি বাজরা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
যাঁরা প্রাণীজ প্রোটিন খেতে ভালবাসেন না, তাঁরা বাজরার তৈরি খাবার খেতে পারেন। এই খাবার প্রোটিন সমৃদ্ধ।
ময়দার তৈরি কেকে নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। বাজরার তৈরি কেক খেলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি বাজরার তৈরি কেক খেলে ওজনও বাড়বে না।
তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক, বাজরার কেক কীভাবে তৈরি করা যায়…
উপকরণ:২ ডিম, ৬০ গ্রাম বাজরার আটা, ৫০ গ্রাম চিনি, ২০ মিলি দুধ, এক চামচ ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট, এক মুঠো ড্রাই ফ্রুটস, এক মুঠো চকো চিপস।
প্রথমে ওভেন ১৮০ ডিগ্রিতে প্রিহিট করে নিন। এবার ডিমগুলো ফেটিয়ে নিন। হ্যান্ড ব্লেন্ডার ব্যবহার করে আপনি ডিমটা ফ্লাপি বানিয়ে নিতে পারেন।
এবার ডিমের মিশ্রণে চিনি গুঁড়ো যোগ করুন। চিনিটা প্রথমে মিক্সিতে দিয়ে পাউডার বানিয়ে নেবেন। ডিমের মিশ্রণে চিনি গুঁড়ো মেশানোর পর এতে বাজরার আটা মিশিয়ে দিন।
মিশ্রণটা ভাল করে মিক্স করবেন। এবার এতে দুধ এবং ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট দিয়ে দিন। মিশ্রণটি ভাল করে মিশিয়ে নেবেন।
কেক তৈরির পাত্রে মাখন লাগিয়ে নিন। এর উপর সামান্য চিনি গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। এতে কেক পাত্রের সঙ্গে আটকে যাবে না।
এবার এতে কেকের ব্যাটারটা ঢেলে দিন। পুরোটা ঢালবেন না। অর্ধেক ব্যাটারটা ঢালার পর উপর দিয়ে ড্রাই ফ্রুটস, চকো চিপস ছড়িয়ে দিন।
এরপর বাকি ব্যাটারটা ঢেলে দিন। এবার এটা ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটের জন্য বেক করুন। টুথপিক গুঁজে দেখুন কেক ভাল করে তৈরি হয়েছে কিনা।
কেক তৈরি হয়ে গেলে উপর দিয়ে চকোলেট সস ছড়িয়ে দিন। স্লাইস কেটে পরিবেশন করুন বাজরার কেক।