15 MAY, 2025
BY- Aajtak Bangla
পেট খারাপ, বমি হচ্ছে কিংবা ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিয়েছে, আমরা সবার আগে যেটা নিজেরা খাই বা অন্যদের খাওয়ার পরামর্শ দিই, তা অবশ্যই ORS বা ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন। এর উপকারিতা অনেক। শরীরে প্রয়োজনীয় তরল পৌঁছে দিতে সাহায্য করে এই পানীয়।
যেকোনও আবহাওয়াতেই দারুণ উপকারী ORS। ডায়রিয়া হওয়ার ফলে শরীর থেকে আমাদের যে তরল বেরিয়ে যায়। আর যার ফলে আমাদের শরীর আরও দুর্বল হয়ে যায়, তার ঘাটতি মেটায় ORS।
শরীরে এনার্জি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। চিকিৎসকেরা সাধারণত প্রথমে জল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নেওয়ার পরামর্শ দেন। তারপর এক লিটার জলে এক প্যাকেট ORS মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ডিহাইড্রেশনের সমস্যা তো দূর হয়ই। পাশাপাশি শরীরে জোরও ফিরে আসে। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায়, বাড়িতে ORS নেই। অথচ সেই সময়ই তা প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারবেন ORS।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ORS তৈরি করার জন্য প্রথমে এক লিটার জল নিতে হবে। তাতে ৬ চামচ চিনি মেশাতে হবে।
জল ও চিনির মধ্যে অর্ধেক চামচ নুন মিশিয়ে দিন। এবার ভালো করে জলের সঙ্গে নুন ও চিনি মেশাতে থাকুন। চিনি যতক্ষণ না সম্পূর্ণভাবে গলে যাচ্ছে, ততক্ষণ চামত দিয়ে নাড়িয়ে যেতে হবে। চিনি গলে গেলেই তৈরি আপনার ORS।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যধিক বমি ও পায়খানা হলে দ্রুত রোগীকে ORS খাওয়ানো দরকার। সাধারণ জল সেই সময় শরীরে যে প্রভাব ফেলতে পারে না, যা পারে ORS। এছাড়াও হাতের কাছে যদি ইলেক্ট্রোলেট থাকে, তাও জলে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন রোগীকে। নাহলে রোগী ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যেতে পারে।
আন্ত্রিকের সমস্যা, জলশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন ও বমি হচ্ছে এমন রোগীদের সাধারণত এই দ্রবণ দেওয়া হয়।
ডায়াবিটিস, কিডনির সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের সমস্যা রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে ওআরএস খাওয়ার সময়। ওআরএসে থাকে শর্করা ও সোডিয়াম, কাজেই অনিয়ন্ত্রিত প্রয়োগে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে, অতিরিক্ত সোডিয়ামে রক্তচাপের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। কাজেই ওআরএস খাওয়ার আগে পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকের।