6 June, 2024

BY- Aajtak Bangla

কোলেস্টেরল রোগীদের জন্য  ওষুধের চেয়ে কম নয় এই শাক, এভাবে খান

কোলেস্টেরল রোগীদের জন্য তাদের খাদ্য এবং জীবনযাত্রার যত্ন নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

এমন পরিস্থিতিতে আজ আমরা এমন একটি শাকের  কথা জানব  যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।

আসলে, আমরা পুঁই শাকের কথা বলছি। এই শাকটি শুধু কোলেস্টেরল কমাতেই সাহায্য করে না এটি আয়রনের ঘাটতিও দূর করে।

নিয়মিত  এটি খাওয়া হাড়কে শক্তিশালী করে, তাই আপনি যদি কোলেস্টেরল সহ এই সমস্যাগুলির সঙ্গে  লড়াই করে থাকেন তবে আপনি পুঁই শাক  খেতে পারেন।

 প্রথমে সবুজ শাকগুলি মোটা করে কেটে সেদ্ধ করুন, তারপরে মিক্সারে কাঁচা লঙ্কা এবং রসুন যোগ করুন এবং পিষে নিন।

তারপর একটি প্যানে তেল গরম করে, সরু করে  কাটা পেঁয়াজ এবং রসুন দিন এবং সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন, তারপরে লাল লঙ্কা এবং টমেটো দিয়ে ভাজুন।

এর পরে, টমেটো গলে গেলে, সমস্ত মশলা যোগ করুন এবং রান্না করুন এবং তারপরে সবুজ শাকগুলি যোগ করুন এবং তড়কাা  যোগ করুন, আপনার জন্য  স্বাস্থ্যকর সবুজ শাকের রেসিপি তৈরি।

পুঁই শাক  ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। এছাড়া এটি ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাসিয়ামেরও ভালো উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন এবং লুটেইন পাওয়া যায়, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি চোখ ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

মহিলাদের এই শাক খেতে হবে। আয়রন এবং হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি বেশিরভাগ মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়। কিন্তু এই শাকটি  আয়রনের অত্যন্ত সমৃদ্ধ উৎস। পুঁইয়ের রস বা সবুজ শাক খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় থাকে।

গ্রীষ্মকালে, মানুষ প্রায়ই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। এই শাকে  ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক উভয়ই খুব বেশি পরিমাণে রয়েছে। এই দুটি উপাদানই ভালো ঘুম পেতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

এর পাশাপাশি এই সবুজ সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। অর্থাৎ এটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কম রাখতেও সাহায্য করে। এতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে কাজ করে। এছাড়া এটি খেলে বাত ও ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। সবুজ শাক-সবজিতে উপস্থিত ডায়েটারি ফাইবার পরিপাকতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী।

Disclaimer: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র আপনার তথ্যের জন্য। এটি ট্রাই  করার আগে, আপনার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।