আমিষাশী ব্যক্তিরা প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে ভরসা রাখেন ডিমের ওপর। ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো হবে। তবে ডিম খেতে সকলেই পছন্দ করেন।
কিন্তু শোনা যাচ্ছে নকল ডিম বাজারে ছেয়ে গেছে অর্থাৎ সিন্থেটিক রাসায়নিক সামগ্রী দিয়ে এই ডিম বানানো হয়। যা খেলে পেটের একদম দফারফা হয়ে যেতে পারে।
তবে আপনি কীভাবে বুঝবেন যে, আপনি নকল ডিম খাচ্ছেন, জানুন ডিম চেনার সহজ উপায়। কীভাবে নকল ডিম চিনবেন?
নকল ডিমের কুসুম তৈরি করা হয় জেলটিন, সোডিয়াম, অ্যালজিনেট , হলুদ খাবারের রঙ দিয়ে তৈরি হয়। যেমন- প্যারাফিন, মোম, জিপসাম, পাউডার, ক্যালসিয়াম, সালফাইড ডিমের সাদা অংশ, খোসা তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। তাই ডিম সনাক্ত করা খুবই সোজা।
আগে খোসা দেখুন প্রথমে ডিম চিনতে আপনাকে তার খোসা দেখতে হবে। আসল খোসা কিছুটা রুক্ষ এবং হালকা হবে । তবে নকল খোসা, মসৃণ চকচকে হবে। একদম দেখতে প্লাস্টিকের মত লাগবে। এই ডিম কিন্তু ভুলেও কিনবেন না।
আসল নকল ডিম চেনা খুব সহজ, তাই ডিমকে প্রথমে একটি জলে ডুবিয়ে নিন। যদি এটি আসল হয়, তাহলে ধীরে ধীরে ডুবে যাবে। আর নকল ডিম হলে জলে ভেসে উঠবে। যা কিন্তু রাসায়নিক প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। আর এই ডিম কিন্তু খুব হালকা হয়।
ডিম কানের কাছে নিয়ে আসুন, নিয়ে এসে আসতে আসতে ঝাঁকান। যদি এটি আসল ডিম হয়, তাহলে এর শব্দ হালকা হবে। আর নকল ডিম হলে বেশ খুব জোরে আপনি শব্দ পাবেন। তখনই বুঝবেন এটি নকল ডিম।
ডিমকে বাড়িতে কিনে আনার পর ভালো লাগে তাকে সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ করার পর যদি দেখেন এর থেকে রসায়নিক কোনও গন্ধ বেরোচ্ছে। রাবারের মতন শক্ত হয়ে যাচ্ছে ডিম। তাহলে বুঝবেন এটি নকল।
আর যদি দেখেন যে, আপনি যেমন ডিম এনেছেন ডিম ঠিক তেমনি রয়েছে। কোনও রকম গন্ধ বের হচ্ছে না। তাহলে বুঝবেন এটি আসল ডিম।
ডিমের খোসাকে আপনি জ্বালিয়ে দিন, যদি দেখেন প্লাস্টিকের মতো গলে যাচ্ছে তাহলে বুঝবেন ডিমের খোসা নকল, খুব বিচ্ছিরি একটা গন্ধ বেরোবে। আর ডিম আসল হলে এটি সহজে পুড়বে না, আর যদিও বা পুড়ে যায়, তা ছাই হয়ে যাবে।
কারণ খুব সহজেই আপনি এই উপায়গুলি মেনে আসল ও নকল ডিম চিনতে পারবেন।