BY- Aajtak Bangla
16 Nov, 2024
বাঙালির চা ছাড়া সকাল-বিকেল কাটে না। কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত অথবা মাঝরাতে কাজ করতে গিয়ে ঘুম তাড়াতে হলে চা চাই। আর তা যদি হয় ধোঁয়া ওঠা গরম দার্জিলিংয়ের চা, তাহলে আর কোনও কথাই নেই।
তাইতো বাজার ঘুরে দোকান থেকে পরখ করে দার্জিলিংয়ের চা নিয়ে এসে তবেই আমরা শান্তি পাই। আয়েসে গলা ভেজাই।
কিন্তু যেটা দার্জিলিংয়ের বলে বাজার থেকে নিয়ে আসছেন তা আদৌ দার্জিলিংয়ের চা কি না! তা কি আপনি জানেন?
আপনি-আমি কেউই জানেন না। কারণ দার্জিলিংয়ের চা বলে এ রাজ্যের বাজারে ঢুকে গিয়েছে নকল দার্জিলিং চা। তা হলো আসলে নেপালের চা।
নকল-আসল দুটোই লম্বা লম্বা পাতা। গন্ধ খানিকটা কম হলেও দার্জিলিং চা এর মতোই দেখতে। কিন্তু স্বাদ দার্জিলিং চা-এর ধারে কাছেও নেই নেপালের চায়ের।
আসল দার্জিলিং চায়ের পাতার দাম তুলনামূলক বেশি। পাশাপাশি তার স্বাদ-গন্ধ অনেক তীব্র এবং উঁচুমানের। কিন্তু চিনতে না পারলেই চিত্তির।
অভিজ্ঞতা না থাকায় নেপালে নিম্নমানের চাই আমরা দার্জিলিং চা বলে আয়েশ করে খেয়ে যাচ্ছি। নিম্নমানের চা দাম কম, অথচ বেশি দাম দিয়ে আমরা সেটাকে নিয়ে আসছি।
পকেটের পয়সা খরচ করে নকল চা খেতে বাধ্য হচ্ছেন আপনি। কারণ দার্জিলিং চা কেউ চেনেনই না। যাঁরা চেনেন, তাঁরা বাজারের দোকান থেকে চা কেনেন না। ফলে সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে কম দামের নকল চা বেশিদামে কিনে বাড়ি নিয়ে যান।
এ বিষয়টি নিয়েই সম্প্রতি দার্জিলিং সফরে গিয়ে ভড়কেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেমন দার্জিলিং চায়ের বদনাম হচ্ছে, তেমনই তাদের অর্থনৈতিক একটা বড় ক্ষতি হচ্ছে।
প্রকৃত দার্জিলিং চায়ের উৎপাদক-মালিকরাও ভেজাল দার্জিলিং চা বিক্রি হয় আসল চায়ের দাম পাচ্ছেন না দার্জিলিং চা এর উৎপাদকরা।