23 December 2023
BY- Aajtak Bangla
বিদ্যুতের বিল দেখে আমরা অনেক সময় তাজ্জব হয়ে যায়। কারণ আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে কারেন্টের বিল আসে বেশি।
তবে, আপনি খুব সহজেই বিদ্যুৎ বিল অনেকটাই কমাতে পারবেন বা এটাও হতে পারে যে আপনাকে কোনও বিলই দিতে হবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
এয়ার কন্ডিশনার, ফ্রিজ বা গিজারের মতো যে কোনও সরঞ্জাম পাওয়ার রেটিং দেখে কিনুন। পাওয়ার রেটিং-এর মানে হল, আপনার ডিভাইসটি কতটা বিদ্যুৎ খরচ করবে, তা দেখে নেওয়া। আপনার উচিত 3 বা 5 Star রেটিং দেখে নেওয়া।
বাড়ির সমস্ত বাল্ব পরিবর্তন করে LED লাইট ব্যবহার করতে পারেন। দাম তুলনামূলক বেশি হলেও বিদ্যুৎ খরচ হয় অনেক কম। যার জন্য বিদ্যুৎ বিলও আসে কম। যখন কোনও অ্যাপ্লায়েন্সেসের ব্যবহার হচ্ছে না তখন সেই সরঞ্জাম বন্ধ রাখুন। তাতে কারেন্টের বিল কম আসবে।
গরমকালে এসি সবসময় ২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় চালু রাখা উচিত। এতে ঠান্ডা হতে বেশ কিছু অতিরিক্ত সময় লাগলেও বিদ্যুৎ বিল তুলনামূলক অনেক কম হয়।
আপনি যদি একই সময়ে একাধিক যন্ত্রপাতি চালান, তা হলে পাওয়ার স্ট্রিপ ব্যবহার করুন। এটির সাহায্যে যখন এই আইটেমগুলি ব্যবহার করা হয় না, তখন আপনি একবারে এগুলি বন্ধ করে ফ্যান্টম শক্তির ক্ষতি এড়াতে পারেন।
আর আপনি যদি চান যে আপনার এক টাকাও কারেন্টের বিল না আসুক তবে প্রতি মাসে ২৫ ইউনিট বা তার কম বিদ্যুৎ খরচ করুন। সিইএসসি এলাকাই হোক বা বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা— গ্রাহকদের বিলের অঙ্ক ২৫ ইউনিটের কম হলে বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ মিলবে।
যেহেতু বণ্টন সংস্থার আওতায় তিন মাস অন্তর বিল আসে, তাই সেখানে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ফ্রি। তবে শর্ত একটাই। মিটারের লোড ০.৩ কিলোওয়াট বা তার নীচে থাকলে এই সুবিধা মিলবে।
তিন মাসে ৭৫ ইউনিট অর্থাৎ মাসে ২৫ ইউনিট করে বিদ্যুৎ খরচ ধরলে দিনে গড়ে ১০ ঘণ্টা একটি ৬০ ওয়াটের পাখা ও ২০ ওয়াটের আলো জ্বালানো যেতে পারে। তাতে দিনে ০.৮ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে।
৩০ দিনে মাস ধরলে খরচ হবে ২৪-২৫ ইউনিট। ৬০ ওয়াটের পাখা ও ৪০ ওয়াটের টিউবলাইট জ্বালালে অঙ্কের নিয়মে ১০ ঘণ্টার একটু কম জ্বালাতে হবে।