BY- Aajtak Bangla
24th February, 2025
বর্তমানে বাজারে যে সমস্ত খাবারের জিনিস পাওয়া যায়, তাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চিনি থাকে। বেশি মাত্রায় চিনি খেলে ডায়াবেটিস, ওজন বেড়ে যাওয়া, হার্টের অসুখ, ব্লাড প্রেশার, ক্যান্সারের মতো রোগও হতে পারে।
WHO-এর মতে কারোরই মোট ক্যালরির ৫ শতাংশ চিনি থেকে নেওয়া উচিত নয়। অনেকেই এমন রয়েছেন যাঁরা মিষ্টি কম খেতে চান কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।
এই টোটকায় আপনার মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে চিরতরে ঘুচবে।
মিষ্টি ও চিনি কম খেলে ক্যাভিটির সম্ভাবনা কমবে। ওজন ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। হার্টের অসুখ, ওজন বাড়া ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস-এর ঝুঁকি কম হবে।
কোন খাবারে কতটা শর্করা থাকে তা লেবেলে পড়ে নিন। এটা জানলেও আপনার চিনি খাওয়ার প্রবণতা কম হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সাদা চিনি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপদজ্জনক। এটা রক্তে খুব তাড়াতাড়ি মিশে যায়, যার ফলে ব্লাড সুগার দ্রুত বাড়ে।
অনেক খাবারেই প্রসেসড চিনি মেশানো থাকে, সেটার থেকেও সাবধানে থাকুন। কেচাপ, পাউরুটি, স্যালাডের ড্রেসিং ও ড্রাই ফ্রুটের মতো প্যাকেটজাত খাবারে আখের চিনি উচ্চ ফ্রুক্টোজ কর্ন সুগার মেশানো থাকে।
পেস্ট্রি, কুকিজ, মাফিন, সাদা পাউরুটি ও আটার তৈরি খাবারে অনেক চিনি থাকে। তাই সবজি দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়াই শ্রেয়।
মিষ্টি ছাড়ার চেষ্টা যখন করছেন তখন হেলদি ফ্যাট (বাদাম, অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো, দুগ্ধজাত খাবার) ও আমিষ প্রোটিন (ডিম, মাছ ও ফল) খাওয়া খুবই উপকার।
প্রোটিন ও হেলদি ফ্যাট আপনার পেট ভরিয়ে রাখতে সহায়তা করবে এবং এনার্জিতে ভরপুর থাকবেন আমি। আর চিনি বা মিষ্টি খাওয়ার ক্রেভিংস থাকবে না।
প্রিয় খাবার থেকে অতিরিক্ত চিনি দূর করে মিষ্টি খাওয়া থেকে দূরে থাকতে পারেন। যেমন চা ও কফি খান চিনি ছাড়া বা একটু গুড় দিয়ে।
মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হলে ড্রাই ফ্রুটস, ফল খেতে পারেন।