BY- Aajtak Bangla
18th September, 2024
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে খরচের সব খাতেই লাগাম টানতে হচ্ছে।
যার প্রভাব পড়ছে রান্নাঘরে। আর এই রান্না ঘরের সবচেয়ে অপরিহার্য উপাদান হলো গ্যাস।
একটা গৃহস্থ বাড়িতে দুটো রান্নার গ্যাস প্রতিমাসেই লাগে। আপনি যতবেশি গ্যাস ব্যবহার করবে, সিলিন্ডার ততো তাড়াতাড়ি খালি হবে। আর সেই খরচের প্রভাব পড়বে মাসের মোট হিসেবে।
তবে কিছু কৌশল মেনে চললে কিন্তু গ্যাসের অপচয় কমানো যায়। যার ফলে কমবে এই খাতের খরচও। চলুন জেনে নিই।
অতিরিক্ত আঁচে রান্না করতে গেলে আগুন পাত্রের তল ছাড়িয়ে আশপাশে দিয়ে বের হয়ে যায়। ফলে অনেক বেশি গ্যাসের অপচয় হয়। তাই গ্যাসের আঁচ মাঝারি রাখুন। এতে সাশ্রয় হবে গ্যাস।
রান্নার গ্যাসের আগুনের রং নীল হওয়াই বাঞ্চনীয়। লাল, হলুদ কিংবা কমলা রঙের আগুন দেখলে বুঝবেন গ্যাসের দহন যথাযথ ভাবে হচ্ছে না।
বার্নার অপরিষ্কার থাকলে এমনটা হতে পারে। এজন্য বার্নার নিয়মিত পরিষ্কার করুন। ঈষদুষ্ণ গরম জলে ন্যাকড়া ভিজিয়ে ঘষতে পারেন বার্নার। তাতেও সমস্যা দূর না হলে ডাকতে পারেন মেকানিক।
হাঁড়ি-কড়াইয়ের তলায় কালি থাকলে তাপের অপচয় হয়, গ্যাসও বেশি খরচ হয়। তাই রান্নার পাত্রের তলা পরিচ্ছন্ন রাখুন।
পাশাপাশি, গ্যাসে শুকনো পাত্র বসানোর চেষ্টা করুন। পাত্রে জল লেগে থাকলেও গ্যাস অপচয় হয়।
যে কোনো পাত্রের ক্ষেত্রেই ঢাকা দিয়ে রান্না করলে অনেকটা গ্যাস বাঁচে। চেষ্টা করুন পাত্র ঢাকা দিয়ে রান্না করতে।
পাশাপাশি, সাধারণ বাসনের পরিবর্তে যত বেশি সম্ভব প্রেসার কুকার ব্যবহার করুন। গ্যাস সাশ্রয় করতে প্রেসার কুকারের থেকে ভালো বিকল্প নেই।
রান্নায় কতটুকু জল দেবেন, তা-ও মেপে রাখার চেষ্টা করুন আগে থেকে। তরকারিতে জলের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি দিলে তার জন্য অতিরিক্ত গ্যাস পোড়াতে হয়।