BY- Aajtak Bangla
16 NOVEMBER 2023
একটু বেশি সময়ের জন্য খাবার সংরক্ষণ করতে ডিপ ফ্রিজে রাখা হয়।
ডিপ ফ্রিজের তাপমাত্রা কম থাকায় অধিকাংশ জীবাণু সেখানে বাঁচতে পারে না। তাই খাবার ভালো থাকে।
তবে ডিপ ফ্রিজে ওঠানোর আগে অসাবধান থাকলে কিংবা বারবার খাবার ওঠানো-নামানো হলেও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিছু সাধারণ নিয়ম তাই জানা থাকতে হবে।
যেমন কাঁচা মাছ সংরক্ষণ করতে চাইলে দ্রুত ডিপ ফ্রিজে উঠিয়ে নিতে হবে, কিন্তু মাংসের জন্য নিয়মটা আলাদা।
যতক্ষণ পর্যন্ত না উষ্ণ ভাবটা দূর হয়, ততক্ষণ মাংস ফ্রিজে তোলা যাবে না।
রান্না করা খাবারও নিয়মমাফিক সংরক্ষণ করলে বেশ কিছুদিন ভালো থাকে।
দুধ, টক দই, মাখন, পনির কিংবা ফ্রোজেন খাবারের মোড়কে বা পাত্রে মেয়াদ উল্লেখ করা থাকে। মেয়াদের মধ্যেই এগুলো খেয়ে নেওয়া উচিত।
মরশুমি সবজি, টমেটো পিউরি, বাটা মশলা প্রভৃতি নির্দিষ্ট নিয়মে সংরক্ষণ করলে স্বাদ ও পুষ্টিমান বজায় থাকবে।
টমেটো পিউরিও এভাবে প্রয়োজন বুঝে ছোট পাত্রে রাখা হলে ভালো।
রান্না করা মাছ-মাংসও এমনভাবে রাখুন, যাতে একবার বের করে গরম করা হলে তা ওই বেলায়ই খাওয়া হয়ে যায়।
দুধের প্যাকেটের মুখ একবার খোলা হলে তা আর উঠিয়ে না রাখাই ভালো। নিতান্ত যদি রাখতেই হয়, তাহলে পরবর্তীবার ব্যবহারের আগে অবশ্যই খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে।
তবে টক দই, মাখন বা পনির প্যাকেট বা পাত্র থেকে খানিকটা নিয়ে আবার ডিপ ফ্রিজে উঠিয়ে রাখা হলে সমস্যা নেই।
বাটা মশলাও ছোট ছোট মুখবন্ধ পাত্রে রাখা ভালো, যাতে একবারে যা প্রয়োজন, কেবল ততটুকুই থাকে একটি পাত্রে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, মশলা এভাবে মাস দুয়েক ভালো থাকলেও ঘ্রাণটা অন্য রকম হয়ে যেতে পারে।