1 APRIL, 2024
BY- Aajtak Bangla
কারি পাতার শুধু একটি নয় অনেক গুণ রয়েছে যা চুলের গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত উপকারী। জেনে নিন কোন উপায়ে চুলে লাগানো যায় এই পাতা।
লম্বা, ঘন এবং চকচকে চুল শুধু আকর্ষণ বাড়ায় না, এগুলো স্বাস্থ্যেরও প্রতীক। আপনার চুলের অপর্যাপ্ত পুষ্টি থাকলে তা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে এবং ভাঙতে শুরু করতে পারে।
অতএব, সঠিক যত্ন নেওয়া এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পুষ্টি দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আজকাল অনেকেই চুলকে লম্বা এবং স্বাস্থ্যকর করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা অবলম্বন করে। এর জন্য অনেক ঘরোয়া উপায় এবং প্রাকৃতিক প্রতিকার পাওয়া যায়, যার মধ্যে একটি হল কারি পাতার ব্যবহার।
চুল ঘন ও লম্বা করতে কারি পাতার ব্যবহার খুবই কার্যকরী বলে মনে করা হয়।
কারি পাতায় ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে রয়েছে খনিজ ও পুষ্টি উপাদান যা চুলকে মজবুত করতে সাহায্য করে।
কারি পাতায় পাওয়া বিটা-ক্যারোটিন এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের বৃদ্ধি বাড়ায় এবং তাদের মজবুত করে।
কারি পাতায় পাওয়া বিটা-ক্যারোটিন চুলকে মজবুত করতে সাহায্য করে, যার ফলে চুল ভেঙে যাওয়া রোধ করে।
কারি পাতার ব্যবহার চুল পাকা হওয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এগুলো প্রাকৃতিকভাবে চুল কালো করতে এবং গ্রের ও সাদা চুলের সংখ্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কারি পাতায় উপস্থিত খনিজ ও পুষ্টি উপাদান চুলকে নরম ও ঝলমলে করতে সাহায্য করে।
কারি পাতা ব্যবহার করলে চুল পড়া কম হয় এবং চুল মজবুত হয়।
দই কারি পাতার চুলের মাস্ক- প্রথমে এক মুঠো কারি পাতা ধুয়ে নিন। তারপর মিক্সারে পিষে একটি পাত্রে বের করে নিন। দুই থেকে তিন চামচ দই দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে এবং চুলে লাগান।
কারি পাতা হেয়ার স্প্রে- পাত্রে জল ফুটিয়ে তাতে কারি পাতা যোগ করুন। জল ঢেকে ফোটান। ফোটানোর পর ঠান্ডা করে স্প্রে বোতলে ভরে নিন। রাতে চুলে স্প্রে করুন এবং সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন।
কারি পাতা এবং মেথি হেয়ার প্যাক- ৪ চামচ মেথি দানা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে মিক্সারে রেখে পেস্ট বানিয়ে নিন। এক মুঠো কারি পাতা নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার ১ ঘণ্টা আগে চুলে লাগিয়ে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
আমলকি ও কারি পাতার মাস্ক- ২টি আমলকি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে মিক্সারে পেস্ট করুন। এতে এক মুঠো কারি পাতা ও সামান্য জল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করুন।
এই কৌশলগুলি অবলম্বন করে আপনি আপনার চুলকে স্বাস্থ্যকর, লম্বা এবং চকচকে করতে পারেন। মনে রাখবেন যে প্রতিটি ব্যক্তির চুলের প্রকৃতি আলাদা, তাই আপনার চুলের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।