19 SEPTEMBER 2024
BY- Aajtak Bangla
যত বেশি তেল-মশলাযুক্ত খাবার খাবেন, কোলেস্টেরল-ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়বেই। ভাজাপোড়া খাবার থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই ভালো।
যাদের ট্রাইগ্লিসারাইড বা কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে, কিংবা ওবেসিটিতে ভুগছেন, তাদের তেল খাওয়া একদম উচিত নয়।
ওজন বাড়ছে বলে কম তেল দিয়ে রান্না করবেন ভাবছেন। কিন্তু যতবারই তা ভাবছেন, ততবারই পিছিয়ে আসছেন এই ভেবে যে এবার তো সেদ্ধ খাবারই খেতে হবে! এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। কম তেলেও সুস্বাদু খাবার সম্ভব। তা সে টিক্কি হোক বা মাংসের ঝোল। জানুন কীভাবে করবেন কম তেলে রান্না।
এক ফোঁটা তেল দিয়ে রান্না করা সম্ভব নয়। তবে, রান্নায় তেলের পরিমাণ কমানোই যায়। ৫ চামচের বদলে ১ চামচ ব্যবহার করতে পারেন। আর কোন উপায়ে তেলের ব্যবহার কমাবেন?
ননস্টিকের কড়াই ব্যবহার করলে অল্প তেলেই ভালো রান্না হয়ে যায়। ননস্টিকের কড়াইতে অল্প তেলে ঢাকা দিয়ে রান্না করলে চটজলদি রান্নাও হয়ে যাবে।
তেলের জার থেকে সরাসরি তেল কড়াইতে ঢালবেন না। চামচ বা মেজারমেন্ট কাপ ব্যবহার করুন। তেলের পলাও ব্যবহার করতে পারেন। এতে মেপে হবে তেলের ব্যবহার।
প্যান-কড়াই গ্যাসে বসিয়ে ভালো করে গরম করবেন। তারপর তাতে তেল দেবেন। অয়েল ব্রাশের সাহায্যে তা পুরো পাত্রের গায়ে ছড়িয়ে দেবেন। এবার তেল গরম হলে দিয়ে দেবেন রান্নার উপকরণ।
ভাজাপোড়া রান্না যত কম খাবেন, দেহে কম তেল ঢুকবে। চেষ্টা করুন বেক করা খাবার খেতে। নামমাত্র তেল, মশলা মাখিয়ে মাছ, মাংস বেক করে নিলেই কাজ শেষ।
বেক না করলেও বাঙালির প্রিয় ভাপাও রান্না করতে পারেন। কম তেল ও মশলা দিয়ে মাছ, মাংস, ডিম সবই ভাপা রান্না করতে পারেন।
কম তেলে মাংস রান্না করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে ম্যারিনেট করে রাখা সমস্ত উপকরণ দিয়ে। আর ম্যারিনেশনের সময় দইও ব্যবহার করে নেবেন। এভাবে ম্যারিনেট করে আপনি সয়াবিন, কাবলি ছোলা কিংবা রাজমাও রান্না করতে পারেন। এবার কড়াইতে ১-২ চামচ তেল গরম করে গোটা মশলা ফোড়ন দিন। তারপর ম্যারিনেশন ঢেলে দিন। এতে কড়াইতে লেগে যাবে না।
আরেকটা ব্যাপার এক্ষেত্রে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, আর তা হচ্ছে আঁচ। কম তেলে রান্না মানে পাত্রের নীচে খাবার লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই আঁচ আপনাকে একদম কম রাখতে হবে। স্লো কুকিংয়ে সেদ্ধ হবে ভালো, স্বাদ আসবে বেশি। পুড়েও যাবে না।
তেল কম থাকলে অনেক সময় মশলা কষানোর ক্ষেত্রে লেগে যায়। সেক্ষেত্রে জলের ছিটে দিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। আঁচ অবশ্যই একদম কম থাকবে।
মাছ ভাজার সময় অনেক বাড়িতেই একগাদা তেল ব্যবহার করা হয়। আসলে কম তেলে মাছ ভাজতে গেলে তা লেগে যায় পাত্রে। তবে এয়ার ফায়ারে মাছ ভাজলে এই সমস্যা থাকে না। মাছের টুকরোগুলো নানা রকমের মশলা, অল্প তেল দিয়ে ম্যারিনেট করে ১০-১৫ মিনিট রেখে এয়ার ফ্রায়ারে দিয়ে দিন। এবার ম্যাক্সিমাম টেম্পারেচারে ৪-৫ মিনিট রাখুন। আপনার মাছ ভাজা তৈরি হয়ে যাবে।