22 May, 2025
BY- Aajtak Bangla
স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ নিজের ওজনের দিকে খেয়াল তো রাখেনই, কেউ কেউ উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক আছে কি না, তা-ও বোঝার চেষ্টা করেন।
সুস্থতার জন্য কোমরের মাপও ঠিক থাকা অতিগুরুত্বপূর্ণ।
সুস্থ্য কোমরের আদর্শ মাপ: সাধারণভাবে একজন যুবতী নারীর কোমরের মাপ ৮০ সেন্টিমিটারের (প্রায় ৩২ ইঞ্চি) কম হলে তা সুস্থতার লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়।
৮০-৮৮ সেমি হলে সতর্ক সংকেত: কোমরের মাপ ৮০ থেকে ৮৮ সেমি (৩২–৩৫ ইঞ্চি) হলে তাকে স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাব্য ইঙ্গিত বলা হয়।
৮৮ সেমি ছাড়ালে ঝুঁকিপূর্ণ: যদি কোমরের পরিমাপ ৮৮ সেমির (প্রায় ৩৫ ইঞ্চি) বেশি হয়, তাহলে তা স্থূলতা ও বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা বাড়ায়।
কম কোমর মানেই বেশি ফিট নয়: অতিরিক্ত পাতলা কোমরও স্বাস্থ্যকর নয়। খুব কম কোমরের মেয়েরা পুষ্টিহীনতা বা হরমোন সমস্যায় ভুগতে পারেন।
বডি মাস ইনডেক্স (BMI) সাথে মিলিয়ে বিচার করা উচিত: শুধুমাত্র কোমরের মাপ নয়, BMI-এর সাথেও মিলিয়ে দেখা জরুরি।
কোমর-নিতম্ব অনুপাত (Waist-Hip Ratio) গুরুত্বপূর্ণ: WHO অনুযায়ী, কোমর ও নিতম্বের অনুপাত ০.৮৫ এর কম হলে স্বাস্থ্যকর ধরা হয়।
বড় কোমর, বাড়ে মেটাবলিক রোগের ঝুঁকি: কোমরের মাপ বেশি হলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
জিনগত প্রভাব থাকলেও লাইফস্টাইল গুরুত্বপূর্ণ: পরিবারিকভাবে কোমরের গঠন প্রভাব ফেললেও ব্যায়াম ও ডায়েট মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।