BY- Aajtak Bangla

'ভূতপূর্ব রাষ্ট্রপতি' নেতাজি, এই ফলকে আজও লেখা

14 AUGUST, 2023

খিদিরপুরের মনসাতলা লেনের আনন্দময়ী দরিদ্র ভাণ্ডার। দুঃস্থ ও আর্ত মানুষের সেবায় ১৯০৯ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি পথ চলা শুরু করে। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নেতাজির যোগ রয়েছে।

আসলে ১৯০৯ সালের ৩০ মার্চ পথচলা শুরু হলেও আনন্দময়ী দরিদ্র ভাণ্ডারের ছিল না কোনও নিজস্ব বাড়ি।

১৯৩৯ সালের ৩ মে আনন্দময়ী দরিদ্র ভাণ্ডারের বাড়ির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন নেতাজি।

'ইতিহাসে খিদিরপুর' বলে একটি বই লিখেছিলেন আনন্দময়ী দরিদ্র ভাণ্ডারের প্রবীণ সদস্য সমর দত্ত (Samar Dutta)। সেখানেই রয়েছে সেদিনের ঘটনার বিশদ বিবরণ।

প্রতিষ্ঠানের নতুন বাড়ির ফলকে এখনও লেখা রয়েছেন নেতাজির নাম। ফলকে লেখা আছে, 'ভূতপূর্ব রাষ্ট্রপতি দেশগৌরব শ্রীযুক্ত সুভাষ চন্দ্র বসু'।

নেতাজির নামের পাশে 'ভূতপূর্ব রাষ্ট্রপতি' লেখা দেখে খটকা তো লাগবেই। তবে এই লেখার পিছনে আসল কারণ জানলে সব বিভ্রান্তি দূর হয়ে যাবে।

আসলে সেই সময় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্টকে (Congress Preident) বাংলায় রাষ্ট্রপতি বলা হত। এখন যে পদটিকে সভাপতি বলা হয়। ১৯৩৯ সালে কংগ্রেসের সভাপতির পদ ছাড়েন সুভাষ চন্দ্র বসু।

১৯৪০ সালে ফরোয়ার্ড ব্লক আলাদা পার্টি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়ার পরে স্বাভাবিক ভাবেই তিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হয়ে যান।

বাংলা করলে দাঁড়ায় প্রাক্তন বা সাবেক বা ভূতপূর্ব রাষ্ট্রপতি। যেহেতু সেই সময় কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের পদকে বাংলায় রাষ্ট্রপতি বলা হত, তাই আনন্দময়ী দরিদ্র ভাণ্ডারের ফলকে লেখা রয়েছে, 'ভূতপূর্ব রাষ্ট্রপতি।'