10 July, 2024
BY- Aajtak Bangla
আজকাল, পরিবর্তনশীল জীবনধারার কারণে বন্ধ্যাত্বের ঘটনা বাড়ছে। এটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়কেই প্রভাবিত করতে পারে।
মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের অনেক কারণ থাকতে পারে। কিন্তু কোন সন্দেহ নেই যে মহিলাদের অভ্যাসও তাদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস করে। এখানে এমন কিছু অভ্যাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
স্বাস্থ্যকর সুষম খাদ্য ফার্টিলিটি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অত্যধিক ওজন বৃদ্ধি বা খুব কম ওজন উভয়ই ওভুলেশন বা ডিম্বস্ফোটনকে প্রভাবিত করতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি বেশি খাওয়া কম ডিম্বস্ফোটন এবং জরায়ুর সমস্যার সঙ্গে যুক্ত।
ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন শুধুমাত্র আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর নয়, এটি ফার্টিলিটও হ্রাস করতে পারে। ধূমপান ইস্ট্রোজেনের মাত্রা হ্রাস করে এবং ডিম্বাশয়ের ক্ষতি করে।
অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন মাসিক চক্রকে অনিয়মিত করতে পারে এবং গর্ভাবস্থার সম্ভাবনা হ্রাস করতে পারে।
শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা শুধুমাত্র ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে না এটি প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। নিয়মিত ব্যায়াম মাসিক চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং জরায়ুকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যাইহোক, অতিরিক্ত ব্যায়াম ক্ষতিকারক হতে পারে এবং মাসিক চক্র বন্ধ করতে পারে।
স্ট্রেস হরমোন ফার্টিলিটিকে প্রভাবিত করতে পারে। স্ট্রেস ডিম্বস্ফোটনে বিলম্ব ঘটাতে পারে এবং জরায়ুর আস্তরণ পাতলা করে গর্ভধারণকে কঠিন করে তোলে।
অনিয়মিত বা বেদনাদায়ক ঋতুস্রাব অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার একটি চিহ্ন হতে পারে যা বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) এর মতো অবস্থা মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে। এমতাবস্থায়, এটিকে উপেক্ষা করা একটি বড় ভুল প্রমাণিত হতে পারে।