9 April, 2024
BY- Aajtak Bangla
অনেকেই এখন ওজন কমানোর জন্য ফিট থাকতে উপোষ করে থাকেন বা দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকেন।
উপোষ করা শরীরের জন্যেও ভালো এতে শরীর ডিটক্স হয়।
বেশিরভাগ মানুষ দিনের শুরুতে ওয়ার্কআউট করেন। ঘুম থেকে উঠে, একটু ফ্রেশ হয়ে শরীরচর্চা করেন।
প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা কিছু না খেয়ে, খালি পেটে ব্যায়াম করাকে ফাস্টেড ব্যায়াম বলা হয়। আবার অনেকে হালকা ব্রেকফাস্টে করে জিমে যান।
তবে অনেকে খালি পেটে ব্যয়াম বা জিম করতে পছন্দ করেন, কিন্তু আপনি সেই সময় ব্যয়াম করতে পারবেন কিনা সেই নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কারণ আপনি এই সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারেন না। এতে আপনি দুর্বল বোধ করতে পারেন।
যদি আপনাকে ব্যয়াম করতেই হয় তাহলে আপনি ভারী কোন ব্যয়াম করবেন না। শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
মনে রাখবেন, যারা ব্যয়াম করেন, বেশি সময় খালি পেটে থাকবেন না। তাহলে দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথাঘোরার মতো সমস্যা হতে পারে।
তাই ফাস্টিং শেষে খাবার এবং জল খান। আর আপনার শরীরে ডায়বেটিস এবং ব্লাড প্রেসারের মতো সমস্যা থাকলে আপনি ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে উপোষ করুন।
মনে রাখবেন, খালি পেটে শরীরচর্চা করলে দেহে শক্তি উৎপন্ন করার জন্য অতিরিক্ত কসরত করতে হয়। এতে দ্রুত ফ্যাট গলতে শুরু করে। তাই খালি পেটে ব্যায়াম করলে সহজেই ওজন কমানো যায়।
তবে খালি পেটে শরীরচর্চা করার ক্ষতিকারক দিকও রয়েছে। যেহেতু ইনসুলিনের মাত্রা ঠিকঠাক থাকে না, তাই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবার খালি পেটে শরীরচর্চা করলে অনেকেই শক্তি ও স্ট্যামিনার অভাব বোধ করেন। এতে ওয়ার্কআউটের তীব্রতা এবং কর্মক্ষমতা হ্রাস হতে পারে।
অনেকেই অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। হালকা মাথা ব্যথার মতো উপসর্গও দেখা দেয়। এক্ষেত্রে শরীরচর্চা শুরু করার আগে হালকা খাবার খাওয়া দরকার। বাদাম, বীজ, ফলের মতো পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন।
ব্যায়াম করার আগে এবং ব্যায়াম করার সময় প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে থাকুন। এমনকী ব্যায়াম করার পরেও জল পান করুন।
ব্যায়াম করার পরে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটেড সমৃদ্ধ খাবারের উপর জোর দিন। ওয়ার্কআউটের পর যদি সুষম আহার না খান, তাহলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। তখন ওজন কমাবেও না, তার পরিবর্তে নানা রোগ চেপে ধরবে।