30 June, 2024

BY- Aajtak Bangla

সপ্তাহে একদিন  খাসি-পাঁঠা কি নির্ভয়ে খাওয়া যায়? ডায়েটিশিয়ানের থেকেই জানুন

আমাদের মধ্য়ে অনেকেই সপ্তাহে একদিন পাঁঠার মাংস খেয়ে রসনাতৃপ্তি সারেন। আর তারপর শরীরের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব কষে ভয় পান।

তবে আদৌ কি রবিবার একদিন পাঁঠার মাংস খেলে শরীরের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে? এই বিষয়ে বিশদে জানতে চাইলে ঝটপট পুষ্টিবিদের পরামর্শ জেনে নিন। তাহলেই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

=

অনেকেই মনে করেন,  পাঁঠার মাংস হল রেডমিট। আর প্রায়দিন রেডমিট বেশি খাওয়া একদমই উচিত নয়। তাই যেন তেন প্রকারেণ পাঁঠার মাংসের লোভ সামলে চলতে হবে।

সত্যিই কি পাঁঠার মাংস খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর? এমনকী সপ্তাহে একদিনও কি পাঁঠার মাংস খেতে নেই?

আমাদের অতি পরিচিত পাঁঠার মাংসে রয়েছে উৎকৃষ্ট মানের প্রোটিন। তাই এই মাংস খেলে অনায়াসে দেহে প্রোটিনের ঘাটতি মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, এই মাংস হল আয়রনের ভাণ্ডার। তাই রক্তাল্পতার মতো জটিল অসুখে ভুক্তভোগীরাও মাঝে মধ্যে মটন খেতেই পারেন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন বি১২, ক্যালশিয়াম, ফসফরাসের মতো জরুরি ভিটামিন ও মিনারেল। তাই কথায় কথায় পাঁঠার মাংসকে ভিলেন বানানোর কোনও কারণ নেই।

যে কোনও সুস্থ-সবল ব্যক্তি চাইলে সপ্তাহে একদিন অল্প পরিমাণে মটন খেতেই পারেন। তাতে শরীরের উপকার হবে বই খারাপ হবে না। তবে অত্যধিক তেল-মশলা দিয়ে রাঁধা মাংস কিন্তু খাবেন না। এই ভুলটা করলে সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে বৈকি!

তবে সবাই কিন্তু সপ্তাহে একদিন মাংস খেতে পারবেন না।  ৪০-এর গণ্ডি পেরলে প্রতি সপ্তাহে পাঁঠার মাংস খাওয়ার ভুল করবেন না। বরং এই বয়সের পর মাসে ১ থেকে ৩ বার দিনে ২ পিস করে পাঁঠার মাংস খেতে পারেন। তাতেই আপনার হার্ট সহ দেহের অন্যান্য অঙ্গ সুস্থ থাকবে।

পাঁঠার মাংসে মজুত থাকা ফ্যাট কিন্তু ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল এবং হাই ব্লাড প্রেশার রোগীদের জন্য খুবই খারাপ। তাই আপনারা মাসে ১ থেকে ২ বারের বেশি পাঁঠার মাংস খাবেন না। আর যখন খাবেন, তখনও সারাদিনে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম মাংস খাওয়ার মধ্যেই নিজেকে আটকে রাখুন।

এই নিয়মটা মেনে চললেই আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন। তেমন কোনও বড়সড় শারীরিক সমস্যা আপনাদের পিছু নিতে পারবে না।

পাঁঠার মাংসের মেটে খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে মেটের মতো অর্গান মিট  ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল-হকিকত বিগড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তাই কোনও ক্রনিক রোগ থাকলে মাংসের মেটে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।