5 June 2024
BY- Aajtak Bangla
প্রোটিন পাউডার খাব? জিমে ভর্তি হয়েই অনেকে এই প্রশ্ন করে থাকেন। কিন্তু এর উত্তর অনেক বেশি জটিল।
এক কথায় এর উত্তর দেওয়া যায় না। কারণ আপনার শারীরিক পরিশ্রম, বয়স, ওজনের উপর প্রোটিন গ্রহণের মাত্রা নির্ভর করে।
তাছাড়া প্রোটিন নিয়ে অনেকে কিছুটা শঙ্কিতও। অনেক ক্ষেত্রেই শোনা যায়, অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে শরীর খারাপ এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI)-র এক গবেষণা অনুযায়ী, ভারতে বিক্রি হওয়া প্রোটিন পাউডার এবং ফুড সাপ্লিমেন্টের প্রায় ১৫ শতাংশই অনিরাপদ বা সাধারণ গুণগত মানের মানের নিচে।
প্রোটিন পাউডার কেনার ক্ষেত্রে কোনও প্রেসস্কিপশনের প্রয়োজন হয় না। আর সেই কারণেই অনেকেই এটি নিরাপদ বলে মনে করেন।
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এগুলি মারাত্মক অসুস্থতার কারণ হতে পারে। অনেকেই প্রোটিন পাউডারের অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে যে ক্ষতি হয়, সেই সম্পর্কে সচেতন নন।
তাঁরা চিকিত্সক এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই প্রোটিন পাউডার খাওয়া শুরু করেন। আপনিও যদি প্রোটিন পাউডার খান বা খাওয়ার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকাটা খুবই জরুরি।
বাজারে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রোটিন পাউডারের প্রতি স্কুপে প্রোটিনের মাত্রা ৫ থেকে ৩৫ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। পেশি বৃদ্ধির জন্য, ওজন হ্রাসের জন্য, কঠোর ওয়ার্কআউটের পর মাসেল রিকভারির জন্যই মূলত বেশিরভাগ ব্যক্তি প্রোটিন পাউডার খেতে শুরু করেন।
তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের প্রোটিনও হয়। এর মধ্যে প্রোটিন কনসেনট্রেট, প্রোটিন আইসোলেটস, হোয়েই প্রোটিন, কেসিন প্রোটিনের মতো বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট মেলে বাজারে।
ফলে আপনি যদি এর মধ্যে কোনও প্রোটিন গ্রহণের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই তার বিষয়ে কোনও রেজিস্টার্ড পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।