1 MAY, 2025
BY- Aajtak Bangla
গরমে এক টুকরো রসালো তরমুজই যেন সেরা শান্তি। তবে বাজারে বেড়ে চলেছে ভেজাল তরমুজের প্রবণতা।
রঙে টকটকে লাল দেখাতে কিংবা তাজা দেখানোর জন্য বহু বিক্রেতা তরমুজে ব্যবহার করছেন কৃত্রিম রং ও ক্ষতিকর রাসায়নিক। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক হুমকি হতে পারে।
তবে চিন্তার কিছু নেই। ঘরোয়া কয়েকটি সহজ উপায়েই যাচাই করা সম্ভব তরমুজটি আসল না ভেজাল।
তরমুজের প্রকৃত ভেতরের রং হওয়া উচিত প্রাকৃতিক, হালকা লাল বা গোলাপি। যদি রংটি খুব উজ্জ্বল বা চোখ ধাঁধানো লাগে, তাহলে সাবধান। এটি ‘ম্যালাকাইট গ্রিন’ বা ‘ইরিথ্রোসিন’ জাতীয় কেমিক্যালের ব্যবহার হতে পারে।
প্রকৃত তরমুজে রঙে কিছুটা অসমতা স্বাভাবিক।
এক চামচ তরমুজের পাল্প এক গ্লাস জলে মিশিয়ে দেখুন। যদি জল সঙ্গে সঙ্গে লালচে হয়ে যায়, তবে বুঝতে হবে এতে কৃত্রিম রং মেশানো হয়েছে। আসল তরমুজ কখনোই জলে রং ছাড়ে না।
একটি টুকরো তরমুজ কেটে একটি ভেজা তুলো দিয়ে তার উপর আলতো ঘষুন। তুলায় যদি লালচে দাগ উঠে আসে, তাহলে এটি ভেজাল তরমুজ। প্রকৃত তরমুজের রস থাকে স্বচ্ছ এবং রংহীন।
তরমুজের বীজ সাধারণত কালো বা বাদামি রঙের হয়। যদি তাতে গোলাপি বা লালচে আভা থাকে, তা হলে বুঝবেন ভেতরের রঙের সঙ্গে বীজও প্রভাবিত হয়েছে—এটি স্পষ্ট ভেজালের ইঙ্গিত।
প্রকৃত তরমুজ খেতে মিষ্টি ও রসালো হয়, তার গঠন সামান্য দানাদার। যদি তাতে ধাতব বা তিক্ত স্বাদ থাকে, কিংবা গঠন খুব শক্ত বা অত্যধিক নরম হয়, তবে সতর্ক হওয়া জরুরি।
তাই এই গরমে সতর্ক থাকুন, বাজার থেকে তরমুজ কেনার সময় চোখ-কান খোলা রাখুন এবং পরিচিত জায়গা থেকে তরমুজ কেনার চেষ্টা করুন।