BY- Aajtak Bangla
27 April, 2025
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উচ্চকণ্ঠে সবাইকে আনন্দে থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তা কীভাবে সম্ভব? অনেকেরই জানা নেই, সুখ বা আনন্দে থাকার জন্য প্রভাব রাখে কিছু হরমোন। এগুলোকে আমরা বলতে পারি ‘হ্যাপি হরমোন’।
১. ডোপামিন বৃদ্ধির উপায়: আনন্দদায়ক কাজ যেমন খাবার গ্রহণ, ব্যায়াম, কেনাকাটা এবং ভালোবাসার মাধ্যমে ডোপামিনের নিঃসরণ হয়, যা আমাদের সুখী করে তোলে।
২. সেরোটোনিনের ভূমিকা: উদ্বেগ ও বিষণ্নতা দূর করতে সেরোটোনিন হরমোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যায়াম, বাইরে সময় কাটানো ও ভালো ঘুমের মাধ্যমে বাড়ানো যায়।
৩.এন্ডোরফিন উৎপাদন: শক্তিশালী প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে পরিচিত এন্ডোরফিন বাড়াতে কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম একটি কার্যকর উপায়।
৪. অক্সিটোসিনের প্রভাব: অন্তরঙ্গ স্পর্শ, যেমন আলিঙ্গন বা হাত ধরা, অক্সিটোসিনের নিঃসরণ ঘটায়, যা মানসিক বন্ধন ও সুখ বাড়ায়।
৫. আলিঙ্গন: প্রিয়জনের সঙ্গে আলিঙ্গন করা অক্সিটোসিন বৃদ্ধি করে, যা মানসিক শান্তি ও সুখ অনুভূতি আনে।
৬. বাইরে সময় কাটানো: প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটালে সেরোটোনিন এবং অন্যান্য হরমোন বাড়ে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
৯. হালকা ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম যেমন হাঁটাচলা বা হালকা শারীরিক কার্যকলাপ ডোপামিনের নিঃসরণ বাড়ায়।
১০. হাসির অভ্যাস: কমেডি নাটক বা সিনেমা উপভোগ করার মাধ্যমে এন্ডোরফিন বৃদ্ধি পায়, যা মনের ভার কমায় এবং সুখী রাখে।
প্রাণীদের সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক চাপ সামলানোর এক দারুণ উপায়। প্রকৃতির মধ্যেও কাটাতে পারেন কিছুটা সময়। এ ধরনের কাজেও ডোপামিন নিঃসরণ হয়। বাড়িতে পোষা প্রাণী থাকলে সেগুলোকে সময় দিন রোজ। পথের প্রাণীদের জন্যও কিছু করতে পারেন।
আপনার ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল হোন। সম্পর্কের বন্ধন যত অটুট থাকবে, বিশেষ করে ব্যক্তিগত সম্পর্কে আপনি যতটা নিরাপদ বোধ করবেন, শরীরের ডোপামিনের ভারসাম্য রাখা ততই সহজ হবে।
ইতিবাচক অনুভূতিগুলো খুব সূক্ষ্মভাবে আমাদের কর্মোদ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন অফিসে প্রশংসা পেলে সেই কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। সেই কাজে নিজের দক্ষতার ওপর আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং কাজটি ভবিষ্যতে আবার করার সুযোগ পেলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।