23 AUG, 2024
BY- Aajtak Bangla
প্রতি বছর কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর উৎসব ধুমধাম করে পালিত হয়। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ রাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর রাতে পুজো করা হয়।
পুজোয় শিংগার, ভোগ-সহ অনেক কিছু ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পুজোয় শসার ব্যবহার অবশ্যই করা হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন শসা ছাড়া অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে আসুন জেনে নিই কেন জন্মাষ্টমীর পুজোয় শসা ব্যবহার করা হয় এবং এর গুরুত্ব কী।
কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পুজোয় মানুষ অবশ্যই শসা নিবেদন করে। এই দিনে এমন একটি শসা আনা হয়, যার সামান্য ডাঁটা এবং পাতা যুক্ত থাকে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে শ্রী কৃষ্ণ শসা নিবেদলে প্রসন্ন হন এবং ভক্তদের সমস্ত দুঃখ-বেদনা দূর করেন।
জন্মাষ্টমীর পুজোয় শসার ব্যবহার করার পিছনে বিশ্বাস হল যে একটি শিশু যখন জন্ম নেয়, তখন তাকে মায়ের থেকে আলাদা করার জন্য নারী কাটা হয়। একইভাবে জন্মাষ্টমীর দিন শসা কেটে তার কাণ্ড থেকে আলাদা করা হয়।
এটি মা দেবকী থেকে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের বিচ্ছিন্নতার প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি করার পরই যথাযথ আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুজো শুরু হয়।
শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিন শসা কাটার প্রক্রিয়াকে বলা হয় নল ছেদন। এই দিনে পুজোর সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে শসা রাখুন।
রাত ১২টায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে একটি কয়েনের সাহায্যে মাঝখান থেকে শসা এবং এর ডাঁটা কেটে নিন।
কিছু জায়গায় এটি সদ্য বিবাহিত মহিলা বা গর্ভবতী মহিলাকে খাওয়ানো হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই শসা নববিবাহিত মহিলা বা গর্ভবতী মহিলাকে খাওয়ালে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মতো সন্তান জন্ম হয়।