9 DECEMBER, 2024
BY- Aajtak Bangla
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যাতে সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভুগছে। এই রোগে শরীরে রক্তে সুগারের মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়।
এই ক্রমবর্ধমান ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিক ডায়েট মেনে চলা খুবই জরুরি। এমন পরিস্থিতিতে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জোয়ারের রুটি একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে।
জোয়ারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে দেয়। এটি আপনাকে বারবার খাওয়ার তাগিদ থেকে বাঁচায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
জোয়ারে কম কার্বোহাইড্রেট থাকে এবং ধীরে ধীরে হজম হয়। অতএব, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি ভাল পছন্দ।
জোয়ারে উপস্থিত ফাইবার পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি এবং অন্যান্য হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
জোয়ারে উপস্থিত ফাইবার খাবার হজমে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি রোধ করে এবং ভাল ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়।
জোয়ারে উপস্থিত পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
জোয়ারে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা হার্টকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি মুক্ত ব়্যাডিকেলগুলিকে ধ্বংস করে যা হার্টের কোষগুলিকে ক্ষতি করতে পারে।
হাড় মজবুত করতে জোয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জোয়ারে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান পাওয়া যায় যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
জোয়ারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। হজমশক্তির উন্নতির পাশাপাশি ফাইবার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ক্ষুধা কমাতেও সাহায্য করে, যার ফলে রোগীদের অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে।
জোয়ার রক্তস্বল্পতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অত্যন্ত কার্যকরী প্রমাণিত হয়। জোয়ারে ভালো পরিমাণে আয়রন থাকে। হিমোগ্লোবিনের প্রধান উপাদান হল আয়রন। জোয়ারে উপস্থিত আয়রন শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে।
জোয়ারে গ্লুটেন থাকে না, তাই যারা গ্লুটেনে অ্যালার্জি বা সিলিয়াক রোগে ভুগছেন তারা সহজেই এটি খেতে পারেন।