2 JUNE, 2025

BY- Aajtak Bangla

বিছানায় উঠে মশার মতো কামড়ায়, এই সাপ কোবরার চেয়েও বিষধর 

বর্ষাকালে সাপের কামড়ের ঘটনা প্রায়শই ঘটে। আর সাপের কামড়ে মৃত্যুও হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় সতর্কতা ও সচেতনা থাকলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাণহানি এড়ানো যায়। এ জন্য সাপের কামড় সম্পর্কে সচেতনার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। 

পশ্চিমবঙ্গে মূলত চার ধরনের বিষধর সাপ রয়েছে। এগুলি হল-গোখরো, কেউটে, চন্দ্রবোড়া ও কালাচ বা কালচিতি।

গোখরো বা কেউটের মতো সাপের কামড় বুঝতে অসুবিধা নেই। কামড়ের জায়গায় প্রচণ্ড জ্বালা যন্ত্রণা, ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ চিনতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হল কালাচের কামড়। এর কামড় এতোই সুক্ষ্ম যে, বোঝাই যায় না যে সাপ কামড়েছে। কালাচের কামড় বোঝা যায় না। অনেকক্ষেত্রে অসুস্থতার কারণ যে কালাচ সাপের কামড়, তাও সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যায় না।

কালাচ বা কালচিতি কিন্তু অজান্তেই বিষ ঢালে। শরীরে এর কামড়ের কোনও চিহ্ন থাকে না।  এই কালাচ সাপ কিন্তু খুবই ভয়ঙ্কর। এই সাপ কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাতেই কামড়ায়।

মশারি টানিয়ে না ঘুমোলে বিছানায় উঠে এসে ছোবল দিয়ে চলে যায়। কিন্তু বোঝার উপায় থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে সকালে উঠে গলা ব্যথা বা পেটে ব্যাথা, শরীর ঝিমঝিম করার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

এ রকম লক্ষণ দেখা দিলে ওষুধ খেয়েও না সারলে সতর্ক হতে হবে। রোগী মশারি না টানিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন কি না, অন্ধকারে হেঁটেছিলেন কি না বা ঝোপেঝাড়ে গিয়েছিলেন কি না।

চোখের পাতা পড়ে আসতে থাকলে নিশ্চিত বোঝা যায় যে, ওই রোগীকে কালাচ সাপে কামড়েছে। কিন্তু এই চোখের পাতা পড়ে আসার লক্ষ্মণ প্রকাশ পেতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

ঘুমোনোর আগে আপনার ঘর এবং আশপাশের এলাকা ভালভাবে পরীক্ষা করে নিন। বিছানা পরিষ্কার করেই ঘুমোতে যান।