18 DECEMBER 2024
BY- Aajtak Bangla
বাঙালি রান্নাঘরে শাকের কোনও কমতি নেই। পালং শাক, কলমি শাক, লাল শাক, পুঁই শাক, কচু শাক, সর্ষে শাক, পাট শাক কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন।
কলমি শাক মূলত ভাজা খাওয়া হয়। গরমের দুপুরে জল ঢালা ভাতের সঙ্গে কলমি শাকের ভাজা জমে ওঠে।
বিশেষজ্ঞের মতে, কলমি শাকে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন, প্রচুর ভিটামিন সি যা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলমি শাকে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন ও অন্যান্য জরুরি কিছু উপাদান। যে কারণে এই শাক খেলে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়।
কলমি শাকের পুষ্টি তা অনেক পরিচিত শাকের থেকে অনেকটা বেশি৷ পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত কলমি শাক খেলে অনেক উপকার হতে পারে।
কলমি শাকের রস সব থেকে উপকারি। শাকের বড়া তৈরি করে খেতে পারেন৷ কলমি শাক, বেগুন, পেঁয়াজ, লঙ্কা, আদা, রসুন কুচি থাকতে হয়৷ লঙ্কা ফোঁড়ন, পাঁচ ফোঁড়ন, নুন, সাদা তেল ও হলুদ গুঁড়ো৷
কলমি শাক এমন এক জিনিস, যা অনেকের হেঁসেলেই থাকে। পুকুর, জলাশয়ের পাশে ঝোপঝাড়ের মতো এই শাক কেউ কেউ এড়িয়ে চলেন। কিন্তু এতেই আছে পুষ্টির সম্ভার।
কলমি শাকে ভিটামিন এ, সি, আয়রন এবং জল, যা শরীর, ত্বক ও মস্তিষ্কের জন্য একটি পাওয়ার হাউস হিসেবে কাজ করে। এটি খেলে ডায়াবেটিসের মতো অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কলমি শাকের জলে পাওয়া ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ কমায়। এছাড়াও এতে উপস্থিত ফোলেট হোমোসিস্টাইনের মতো রাসায়নিকের বিপদ দূর করতে সাহায্য করে।
কলমি শাক পুরুষদের শুক্রাণু বাড়ায়। পুরুষত্ব চাঙ্গা রাখে এই শাক। জন্ডিসের ক্ষেত্রেও সমানভাবে কাজ করে। লিভারের সমস্যায় ভুগলে তারা কলমি শাকের নানা পদ রাখতে পারেন পাতে।