22 SEPTEMBER 2024
BY- Aajtak Bangla
আঙ্গুর শুকিয়ে কিশমিশ তৈরি করা হয়। এটি ভারতে খুব জনপ্রিয়। মিষ্টি ও টক স্বাদের এই শুকনো ফল পুষ্টিগুণের ভাণ্ডার।
এর সম্পূর্ণ উপকারিতা পেতে, এটি খাওয়ার সঠিক উপায় এবং সময় জানা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক কখন কিশমিশ খেলে শরীর সবচেয়ে বেশি উপকার পায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিশমিশ খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় সকাল। সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ সবচেয়ে উপকারী।
কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রাখলে এতে উপস্থিত ফাইবার নরম হয়ে যায়, যা সহজে হজম হয়। কিশমিশ খেলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়। তাই বিশেষজ্ঞরা সকালে এটি খাওয়ার পরামর্শ দেন। বিশেষ করে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন।
জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত ২০১৪ সালের একটি সমীক্ষা নিশ্চিত করেছে যে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ডায়েটারি ফাইবারের উপর নির্ভর করে এবং ভেজানো কিশমিশ একটি প্রাকৃতিক রেচক হিসাবে কাজ করে।
এছাড়াও, সকালে এটি খাওয়া আপনার শরীরকে পটাসিয়াম এবং আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণ করার সুযোগ দেবে, যা আপনার শরীরকে সারা দিন কাজ করার শক্তি দেবে।
অনেকেই বিকেলে শক্তি কম অনুভব করেন। এমন পরিস্থিতিতে তারা মিষ্টি স্ন্যাকস বা ক্যাফেইন যুক্ত জিনিস খেতে শুরু করে। এই ধরনের লোকদের জন্য, কিশমিশ একটি প্রাকৃতিক বিকল্প হতে পারে।
এগুলো প্রাকৃতিক মিষ্টতা ধারণ করে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ, যা বাজারের মিষ্টি স্ন্যাকসের চেয়ে দ্রুত শক্তি যোগায়।
কিশমিশে পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। এগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র্যাডিক্যাল প্রতিরোধ করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
জার্নাল অফ নিউট্রিশনাল হেলথ-এর একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে কিশমিশ প্রদাহ এবং মাইক্রোবিয়াল বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত কারণগুলি প্রতিরোধ করতে এবং কমাতে পারে। তাই এটি হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।