BY- Aajtak Bangla

পাতে থাকলে পোস্ত আর কিছু চাইনা, ইতিহাসটা জানা আছে তো?

9 SEPTEMBER, 2023

পোস্তর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির আবেগ। আলু পোস্ত, আলু-ঝিঙে পোস্ত, পোস্তর বড়া, সবটাই কিন্তু তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেন সকলে।

ভাতের সঙ্গে পোস্ত থাকলে আর কিছুই লাগে না। এইদিয়ে একথালা ভাত উঠে যায়।

কেউ কেউ কাঁচা পোস্ত বেটে সর্ষের তেল, কাঁচা লঙ্কা, নুন ও কাঁচা পেঁয়াজ দিয়ে গরম ভাত একেবারে জমে যায়। যদিও পোস্তর দাম কিন্তু আকাশ ছোঁয়া।

শোনা যায়, সম্রাট আকবরের নির্দেশেই নাকি বাংলায় পোস্ত চাষের কদর বাড়ে। বাঙালির চিরাচরিত আলু-ঝিঙে পোস্তর স্বাদ বাঙালি পেয়েছে আড়াইশো বছর আগে।

মোঘল আমলে এই দেশে পোস্ত ব্যবহার হত গ্রেভি তৈরির কাজে।

সেই সময় মোঘল-বাদশাদের আমলে বিদেশ থেকেই পোস্ত আমদানি করা হত। পরবর্তী সময়ে ধনীদের জন্যেই এদেশে আফিম চাষ শুরু হয়।

আফিমের বীজকে পোস্ত ও ফুলকে নেশার কাজে ব্যবহার করা হয়।

চিনারাও নিজেদের বুদ্ধিতে টন টন আফিম ফলাতে শুরু করল। চোরাপথে এদেশে ঢুকতে শুরু করে আফিম। যার মূল্য লক্ষাধিক টাকা।

১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধের পর থেকেই চিন থেকে আফিম আসার বিষয়টি ইংরেজদের নজরে আসে।

এরপর নবাবকে পরাজিত করার পর শুরু হয় পোস্ত নিয়ে গবেষণা। বাংলা-বিহার ও ওড়িশাতেও শুরু হয় আফিম চাষ।

কথিত আছে, কোনও এক কৃষক গৃহিণী আফিমের দানা বেটে সর্ষের তেল মেখে পান্তাভাত দিয়ে পরিবারের সদস্যদের খেতে দিলেন। সঙ্গে আলু সিদ্ধ।

সেখান থেকেই উৎপত্তি হয় আলু পোস্ত । যেটা এখন বাঙালির প্রিয় খাবারে পরিণত হয়ে গিয়েছে।