2 February 2024
BY- Aajtak Bangla
শিল্পপতি রতন টাটার নাম জানেন না, এমন নাগরিক গোটা দেশে খুব কমই আছেন। আর শুধু দেশ কেন, দেশের বাইরেও রতন টাটার পরিচিতিও যথেষ্ট।
দেশের অনেকেই বর্তমানে রতন টাটাকে দেখে স্টার্ট-আপে নামতে চান। দেশে যে ভাবে স্টার্ট আপ বুম চলছে তাতে রতন টাটাকে পাথেয় করেই নামতে চান অজস্র ব্যবসায়ী।
তাঁদের সাফল্যের বীজমন্ত্র কী হতে পারে? জানিয়েছেন খোদ রতন টাটা নিজেই।
এই টোটকা অনুসরণ করলেই আজকের উদ্যোগপতিরা সাফল্যের রাস্তায় হাঁটতে পারবেন। কিন্তু কী কী সেই টোটকা? জেনে নিন বিস্তারিত।
আপনি যত বড় বা সফল ব্যবসায়ী হোন না কেন, দিনের শেষে আপনার আপনার কর্মচারীদের পাশে থাকা প্রয়োজন। রতন টাটার বেশ পরিচিতি রয়েছে কর্মচারীদের পাশে থাকার জন্য।
কর্মচারীরা তাঁকে চেনেন কর্মচারী-বান্ধব হিসেবে। তাঁর এই আচরণ তাঁকে সাফল্যের রাস্তায় নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।
বিভিন্ন কোম্পানিকে মাঝেমধ্যেই খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। টার্নওভার, লাভের পরিমাণ ইত্যাদি খারাপ হলে অনেক কোম্পানিই কর্মচারী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে শুরু করে। কিন্তু মনে রাখা দরকার কর্মচারী ছাঁটাই কোনও রাস্তা নয়।
অত্যধিক কর্মী ছাঁটাই কোম্পানির বদনামের কারণ হতে পারে। টাটার ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা একেবারেই নেই।
কঠিন সময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকাটা আপনাকে সবসময় বেনিফিট দিয়ে থাকে। ব্যবসার ক্ষেত্রে কঠিন সময় আসে৷ কিন্তু সেই কঠিন সময়ে যদি আপনি এবং আপনার কোম্পানির সঙ্গে জড়িত সমস্ত কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারেন-তবে আপনার সাফল্য আটকাবে না।
যিনি নিজের কোম্পানি তৈরি করছেন-- তাঁর নিজের সবসময় প্রাসঙ্গিক এবং সমস্ত বিষয় নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকা প্রয়োজন। নাহলে তাঁর ব্যবসা দাঁড়াবে না। রতন টাটার সবথেকে বড় গুণ হল-- তিনি তাঁর পরিস্থিতি নিয়ে সবসময় ওয়াকিবহাল।
এছাড়া দুনিয়ায় যখন যা ঘটছে, সেটা নিয়েও তিনি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল থাকেন৷ তিনি অল্পবয়সীদের সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসেন। তরুণ কর্মচারী নেওয়ার জন্য তাঁর কোম্পানি বিখ্যাত। সাফল্যের বিচারে সেই জন্যেই এতটা এগিয়ে তিনি।