4 MAY, 2025
BY- Aajtak Bangla
আজকাল বেশিরভাগ বাচ্চা সারাদিন স্মার্টফোনে গেম খেলে। সারাদিন মোবাইলে গেম খেলা কেবল সময়ের অপচয়ই নয়, বরং শারীরিক ও মানসিকভাবেও ক্ষতিকারক হতে পারে।
মোবাইল গেমিং আসক্তির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।
স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো চোখকে ক্লান্ত করে তোলে। এর ফলে, অল্প বয়সে শিশুদের চোখ দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং তাদের চশমার প্রয়োজন হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের স্ক্রিন টাইম কমিয়ে দিন। এছাড়াও, স্ক্রিন টাইমের সময় অ্যান্টি-গ্লেয়ার স্পেসিফিকেশন ব্যবহার করুন।
শিশুরা যদি ক্রমাগত ফোন ব্যবহার করে, তাহলে তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়তে পারে। গেম খেলার সময় ঘন্টার পর ঘন্টা একই অবস্থানে বসে থাকলে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।
গেম খেলা ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত হতে পারে এবং "ডিজিটাল আসক্তিতে" পরিণত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, যেদিন শিশুটি গেম খেলতে পারবে না, সেদিন সে আরও খিটখিটে হয়ে উঠতে পারে এবং এমনকি রেগেও যেতে পারে।
রাতে মোবাইলের আলো মেলাটোনিন হরমোনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। ঘুমের অভাবে শরীর ও মন ক্লান্ত থাকে। এমন পরিস্থিতিতে, শিশুর মনোযোগ স্কুলের পড়াশোনা থেকে সরে যেতে পারে।
মোবাইলে স্ক্রিন টাইম সেট করুন। শিশুকে কমপক্ষে ২০ মিনিটের বিরতি নিতে বলুন।
সন্তানদের উপর নজর রাখার জন্য অভিভাবকদের 'প্যারেন্টাল কন্ট্রোল' অপশনটি ব্যবহার করা উচিত। এটি করার মাধ্যমে আপনি ধীরে ধীরে সন্তানকে গেমিং আসক্তি থেকে মুক্তি দিতে পারেন।