21 OCTOBER, 2024
BY- Aajtak Bangla
খিদে বা খাওয়া নিয়ে আমরা যতটা মাথা ঘামাই, মলত্যাগ করা নিয়ে বোধহয় ততটা ঘামাই না। অথচ, সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য এই দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
খাওয়ার অনিচ্ছা, মুখে রুচি না থাকা যেমন শরীর খারাপের প্রথম ধাপ, তেমনই মলত্যাগ স্বাভাবিক হচ্ছে কিনা তার থেকে বোঝা যায় শরীর সুস্থ কিনা। যে কোনও রোগের প্রথম লক্ষণ ধরা পড়ে মল থেকেই।
মলত্যাগ বা পায়খানা অত্যন্ত প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। পায়খানা ক্লিয়ার না হলে প্রভাব পড়ে মন-মেজাজেও।
শরীরে কোনও রোগ পাকতে শুরু করলে সবচেয়ে আগে জানান দেয় মল বা পায়খানাই। তাই সুস্থ থাকতে মলের রং দেখতেই হবে।
মানুষের মল বা পায়খানায় যা উপাদান থাকে, তার মধ্যে ৭৫ শতাংশই জল। বাকিটা ফাইবার, ব্যাক্টেরিয়া ও বাজে কোষ, যা শরীরের প্রয়োজন নেই।
পায়খানাকে বলা যেতে পারে, সুস্বাস্থ্যের জানলা। রং, গন্ধ, পরিমাণ- সব কিছুই গুরুত্বপূর্ণ। পায়খানায় বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন কিন্তু বড় রোগের ইঙ্গিতও দেয়।
সুস্থ মানুষের পায়খানার রং খয়েরি হয়, কারণ লিভার থেকে নির্গত হলদে-সবুজ ফ্লুইড। সাপ বা সসেজের মতো আকারের হবে। খুব নরম নয় আবার খুব শক্তও নয়। সহজেই পায়ুদ্বার দিয়ে পাস হয়ে যাবে।
যদি আপনার পায়খানার রং সবুজ হয়, তাহলেও ভয়ের কিছু নেই। প্রচুর শাক-সবজি খেলে এরকম হতেই পারে।
কালচে পায়খানা হলে সে ক্ষেত্রে আপার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ট্র্যাকে সমস্যা হতে পারে। উজ্জ্বল লাল পায়খানা হলে এটি লোয়ার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনালে রক্তক্ষরণের সঙ্কেত দিতে পারে, যেমন হেমোরয়েডস বা কোলোরেক্টাল ক্যান্সার।
ফ্যাকাশে বা মাটির রঙের মল যকৃত্ বা পিত্তনালীর সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। চর্বিযুক্ত ও দুর্গন্ধযুক্ত মল অগ্ন্যাশয়ের সমস্যার সঙ্কেত দিতে পারে।