20 August, 2024

BY- Aajtak Bangla

সঞ্জয়ের হবে নার্কো অ্যানালিসিস, দোষী ধরা পড়বে কীভাবে? 

অমীমাংসিত ঘটনার রহস্য জানতেই নারকো টেস্ট করা হয়। এটি ট্রুথ সিরাম নামেও পরিচিত। বিভিন্ন সিরিজ বা সিনেমায় হরহামেশাই এই পরীক্ষা করতে দেখা যায়। 

নারকো টেস্ট হল এমন একটি পদ্ধতি যেখানে সন্দেহভাজন ব্যক্তির শরীরে বিশেষ ধরনের ওষুধ প্রবেশ করিয়ে তাকে আংশিক অবচেতন অবস্থায় এনে তথ্য আদায় করা হয়। এই পরীক্ষা ট্রুথ সিরাম নামেও পরিচিত।

প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ: পলিগ্রাফ টেস্টে প্রি-টেস্ট ইন্টারভিউ, প্রশ্নোত্তর পর্ব, এবং পোস্ট-টেস্ট ইন্টারভিউ তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়।

প্রতীকী ছবি

ওষুধের ব্যবহার: এই পরীক্ষায় সোডিয়াম পেন্টোথাল, স্কোপোলামাইন, এবং সোডিয়াম অ্যামাইটাল নামক ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধগুলি স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে, যার ফলে ব্যক্তি তার ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারায় না, তবে সত্য চেপে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

প্রতীকী ছবি

ওষুধের প্রভাবে সন্দেহভাজন ব্যক্তি আংশিক চেতনা হারিয়ে ফেলেন এবং সম্মোহিত অবস্থায় পৌঁছে যান। এই অবস্থায় তাকে একের পর এক প্রশ্ন করা হয়, এবং নিজের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ না থাকায় সত্য বেরিয়ে আসে।

নারকো টেস্টের প্রাচীন উদাহরণ রোমান যুগে পাওয়া যায়, যেখানে অ্যালকোহল পান করিয়ে তথ্য জানার চেষ্টা করা হতো। আধুনিক সময়ে ১৯০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম নারকো টেস্ট ব্যবহার করা হয়।

নারকো টেস্ট নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মতো দেশগুলিতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হলেও, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এটি করার আগে ব্যক্তির সম্মতি নিতে হয়। এ ধরনের পরীক্ষা বেআইনি ও ব্যক্তিস্বাধীনতার লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হতে পারে।

ভারতে বেশ কিছু উচ্চ প্রোফাইল মামলায় নারকো টেস্ট ব্যবহার করা হয়েছে, যেমন গুজরাট দাঙ্গা মামলা, আবদুল করিম তেলগি জাল স্ট্যাম্প পেপার কেলেঙ্কারি, নিথারি হত্যা মামলা, এবং আজমল কাসাবের মামলা।

নারকো টেস্ট সাধারণত এমন মামলায় করা হয় যেখানে অপরাধের তথ্য অস্পষ্ট বা দুর্বল থাকে। তদন্তকারী সংস্থা অপরাধীর কাছ থেকে তথ্য বের করার জন্য এই পরীক্ষার আশ্রয় নেয়।