6 October, 2024
BY- Aajtak Bangla
মাছে-ভাতে বাঙালির পাতে মাছ যত জুটছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জমা হচ্ছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক। মাছকে দীর্ঘ দিন টাটকা রাখতে যথেচ্ছ পরিমাণে মেশানো হচ্ছে ফর্মালিন।
সাধারণ রুই-কাতলা থেকে চালানি চিংড়ি সবেতেই মিশছে এই রাসায়নিক। আর এর হাত ধরেই শরীরে প্রবেশ করছে বিষ।
বাজার থেকে কিনে আনছেন টাটকা মাছ, কিন্তু তা খেয়েও অসুস্থ হচ্ছে শরীর! এমনটা কি প্রায়ই হয়? তা হলে বুঝবেন আপনার কিনে আনা মাছ আদতে যতটা টাটকা দেখায়, আসলে তা নয়।
এই বিষাক্ত রাসায়নিক শরীরকে প্রতিদিন বিষাক্ত করছে৷ চিকিৎসকরা সাবধান করছেন, এই রাসায়নিকের মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে আমাদের দেহে ৷
তবে ভয় পাবেন না, ক্ষতিকারক রাসায়নিকের ব্যবহার রুখতে না পারলেও, কিছু সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলেই এই ফর্মালিনের হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
এক একটি মাছে যে পরিমাণ ফর্মালিন মেশে তাতে এক দিনেই হয়তো অনেকটা ক্ষতি হয় না, কিন্তু দিনের পর দিন ওই মাছ খেতে খেতে বিপদ আসতে বাধ্য। তাই দেখে নিন কী ভাবে ঘরোয়া উপায়ে সরিয়ে ফেলবেন তা।
মাছ কিনে এনে খুব ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন সেই মাছ। এর পর প্রায় এক ঘণ্টা তাকে ভিজিয়ে রাখুন সেই জলেই। ঠান্ডা জলের প্রভাবে মাছের শরীরের ফর্মালিন কিছুটা বেরিয়ে যায়।
এর পর নুন জল তৈরি করে তাতে কিছু ক্ষণের জন্য ভিজিয়ে রাখুন মাছ। নুন মাছের শরীরের ক্ষতিকর রাসায়নিককে সহজেই বার করে আনে। এই দুই প্রক্রিয়া অবলম্বন করলেই ফর্মালিন অনেকটাই সরে যায়।
তবে আরও ভাল ফল পেতে প্রথমেই চাল ধোয়া জল দিয়ে ধুয়ে নিন মাছ। তার পর সাধারণ জলে ডুবিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ। এতে সহজেই ফর্মালিন সরে যাবে।
একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে ২ চামচ ভিনিগার মিশিয়ে নিন। তার পরে বাজার থেকে কেন মাছ এই ভিনিগার মেশানো জলে ডুবিয়ে রাখুন। অন্তত ১৫ মিনিট রেখে দিন। এর ফলে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ফর্মালিন দূর হবে। তবে ভিনিগার মেশানো জলে ভিজিয়ে রাখার পরে মাছ সাধারণ জলে ধুয়ে নেবেন। তার পরে রান্না করবেন।
আপনি কি শুঁটকি মাছ খেতে ভালোবাসেন? এই মাছেও থাকতে পারে ফর্মালিন। এটি দূর করার জন্য গরম জল ব্যবহার করা উচিত। গরম জলে শুঁটকি মাছ এক ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখলে ফর্মালিন দূর হয়ে যায়। তারপর সাধারণ তাপমাত্রার জলে ধুয়ে রান্না করতে হয়। মনে রাখবেন, এই পদ্ধতিতে এমনি মাছ ধুতে যাবেন না। এটি শুধু শুঁটকি মাছের জন্যই।