16 September, 2024
BY- Aajtak Bangla
নিজের বাগানে রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈব সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে কে না চায়? তবে এই সার পয়সা দিয়ে কেনাটা অনেকের জন্যই বেশ ব্যয়সাধ্য।
গাছে ফুলের পরিমাণ বাড়াতে, বিশেষ করে গোলাপগাছে ম্যাজিকের মতো কাজ করে শুকনা চা–পাতা। গাছের যত্নে দারুণ কাজ করে।
দুধ-চিনি ছাড়া চায়ের লিকার বানিয়ে ব্যবহৃত চা–পাতা রান্নাঘরে একটা আলাদা পাত্রে রেখে দিন। কিছুদিন পরে পরে এই শুকনো চা–পাতা গাছের গোড়ায় দিয়ে মাটিটা খুঁচিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিন। চা–পাতা
ফুলকে ফলে রূপান্তরিত করতে পেঁয়াজের খোসা উপকারী। গাছের গোড়ায় সরাসরি অথবা টবের মাটি খানিকটা তুলে পেঁয়াজের খোসা দিয়ে মাটিচাপা দিয়ে এটা ব্যবহার করতে পারেন।
বাইরের দেশগুলোর গার্ডেনিং ভিডিওতে প্রায়ই দেখা যায় কালো মাটিতে গাছ লাগানো হচ্ছে। এই সার মাটি রেডি করাও খুব সহজ।
ঢাকনাসহ একটা পাত্র নিন। এতে ২ ইঞ্চি মাটি দিয়ে তার ওপরে কলার খোসা আর ৪ ইঞ্চি পরিমাণ ব্যবহৃত চা–পাতা দিন। ওপরে আবার ২ ইঞ্চি পরিমাণ মাটি দিন। পাত্র না ভরা পর্যন্ত এভাবে দিন।
এবার ওপরের মাটিতে হালকা জল ছিটিয়ে ঢাকনা আটকে ছায়ায় রেখে দিন। তিন বা চার মাস পরে ঢাকনা খুলে মাটি ভালো করে মিশিয়ে নিলেই পেয়ে যাবেন কাঙ্ক্ষিত সার।
ডিমের খোসা গাছের ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। কিন্তু সরাসরি ডিমের খোসা মাটিতে দিলে পোকা হবে। পাশাপাশি এটা সহজে মাটিতে মিশবেও না। ডিমের খোসা খুব ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে গুঁড়ো করে গাছের গোড়ায় দিন।