17 may, 2024
BY- Aajtak Bangla
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকা আম দেখলেই তা সঙ্গে সঙ্গে কিনে নেওয়া ঠিক হবে না ।
অনেকসময়, কৃত্রিম পদ্ধতিতে রাসায়নিক ব্যবহার করে আম পাকানো হয় । কৃত্রিমভাবে পাকানো আম খেলে নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে । যেমন, মুখ, গলা জ্বালা করতে পারে, পেটে ব্যথা হতে পারে, ডায়ারিয়ার সমস্যা হতে পারে।
বাজারে গিয়ে কীভাবে গাছ পাকা আম ও কৃত্রিমভাবে পাকানো আমের মধ্যে পার্থক্য বের করবেন ? আপনাদের জন্য রইল কিছু টিপস ।
যদি, আমের গায়ে হলুদ এবং সবুজ রঙের মিশ্রণের প্যাচ থাকে, তাহলে বুঝবেন সেটা রাসায়নিক উপায়ে পাকানো হয়েছে । কারণ গাছ পাকা আমের রঙে সবুজ ও হলুদের সংমিশ্রণ থাকে ।
আম যদি চাপ দিয়ে নরম লাগে, তা হলে তা গাছ পাকা আম বলে ধরে নেওয়া যায় । কিন্তু যদি তা না হয়, তাহলে রাসায়নিক ব্যবহার করেই পাকানো হয়েছে ।
আম কিনতে গেলে যে বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল করতে হবে তা হল- আমের ওপর মাছি বসে কিনা। আমে রাসায়নিক বা কার্বাইড দেওয়া থাকলে সে আমের উপরে কখনই মাছি বসবে না।
গাছপাকা আম হলে দেখবেন, আমের গায়ে এক ধরণের সাদাটে ভাব থাকে, সেরকম রঙিন ভাব থাকেনা। কিন্তু ফরমালিন বা অন্য রাসায়নিকে দেওয়া আম হয় সুন্দর, দাগহীন ও পরিষ্কার।
আম কেনা হলে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এমন কোথাও রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল করে না। গাছপাকা আম হলে কিছুক্ষণ পর গন্ধে মৌ মৌ করবে চারপাশ। ওষুধ দেয়া আমে এই সুমিষ্ট গন্ধ পাওয়াই যাবে না।
ফরমালিনমুক্ত আম চেনার উপায় একটি উপায় হচ্ছে গন্ধ শুকে দেখা। আম কেনার আগে নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুকুন। গাছপাকা আম হলে অবশ্যই বোঁটার কাছে চেনা গন্ধ পাবেন।
ওষুধ দেওয়া আমে গন্ধ খুব বেশি থাকে না কিংবা বাজে বা ঝাঁজালো গন্ধ থাকে। ফলে বোঝা যায় যে আমটা আসলে গাছপাকা না।