19 DEC, 2024
BY- Aajtak Bangla
কথায় আছে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। সেই বিশ্বাসে ভর করেই এই পুকুরে ডুব দেন মানুষজন।
কেউ রোগা থেকে মোটা, কেউ মোটা থেকে রোগা হতে চান। আবার কেউ রোগ থেকে মুক্তি চান। কেউ কেউ মনস্কামনা পূরণে পুকুরে ডুব দেন।
কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হাওড়া জেলার বাগনানের বাঁটুল গ্রাম। সেই গ্রামেই রয়েছে প্রায় শতাধিক বছরের পুরনো মোটা পুকুর।
প্রতি রবিবার মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। তবে যদি কোনও মাসে পূর্ণিমা রবিবার পড়ে তাহলে তো কথাই নেই। মানুষের ভিড় উপচে পড়ে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মোটা পুকুরে স্নান করলে মানুষ কুমড়োর মত মোটা হয়। আবার কেউ ডুব দেন রোগা থেকে মোটা হতে।
পুকুরে স্নানের শেষে মায়ের কাছে মানত করে যায় মানুষ। পরে মনের ইচ্ছা পূরণ হলে মানুষ কুমড়ো দিয়ে দেবী চণ্ডীর পুজো দেন।
চালের পুঁটলি ও শোলা নিয়ে পুকুরে নামতে হয়। পরে হাতের চালের পুঁটলি ও শোলা পুকুরের জলে ফেলে দিয়ে স্নান করে মায়ের কাছে পুজো দেয়।
মন্দিরের পাশে থাকা গাছে তেল, হলুদ, সিঁদুর লাগিয়ে পুকুরে স্নান করে মায়ের কাছে মানত করে।
হাওড়া জেলা তো বটেই এমনকি সারা বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই পুকুরে ডুব দিতে সারা বছর ভক্ত সমাগম ঘটে। বাগনান স্টেশন থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরত্বে মোটা পুকুর।