14 NOVEMBER, 2024
BY- Aajtak Bangla
ঠাকুমা-দিদিমাদের সময় থেকে যদি কোনও তেল ব্যবহার হয়ে থাকে, তা হল সর্ষের তেল। এই তেল শুধুমাত্র রান্নায় ব্যবহার করা হতো না, মহিলারা তাদের মাথায় এটি ব্যাপকভাবে লাগাতেন।
সর্ষের তেল চুল পড়া কমাতে কার্যকর, এই তেল চুলের বৃদ্ধিতে কাজ করে এবং চুলকে সুন্দর ও ঘন করে তোলে। সর্ষের তেলে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে ভালো পরিমাণে থাকে। এতে ক্যালসিয়াম ও আয়রনও পাওয়া যায়।
এই তেল মাথার ত্বকের উপকার করে এবং চুলের ফলিকলগুলিকে উন্নত করতেও সাহায্য করে। সর্ষের তেল দিয়ে মাথায় মালিশ করলে রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটে।
এখানে জেনে নিন কোন ২ জিনিস সর্ষের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগাতে হবে, যা চুল পড়া কমবে এবং চুল গজাতে সাহায্য করবে।
সর্ষের তেলের সঙ্গে কালোজিরের বীজ এবং মেথির বীজ মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এর জন্য একটি পাত্রে সর্ষের তেল নিয়ে ফোটান। এর মধ্যে এক চামচ কালোজিরের বীজ এবং এক চামচ হলুদ মেথির বীজ যোগ করুন।
তেল ফোটানোর পর ঠান্ডা হতে দিন। তেল ঠান্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে নিয়ে আলাদা বোতলে ভরে নিন। আপনার চুল প্রস্তুত। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই তেল চুলে লাগালে চুল পড়া কমতে শুরু করে, চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং চুল ঘন হতে শুরু করে।
কালোজিরের বীজে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা চুলের ফলিকলের জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়। এই বীজগুলি মাথার ত্বকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যও সরবরাহ করে। এছাড়া কালোজিরের বীজ ব্যবহার করলে চুলে প্রাকৃতিক কালো রং পাওয়া যায়।
কালোজিরের বীজ নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল অকালে পাকা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এই তেল সামান্য গরম করে মাথায় ম্যাসাজের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
হলুদ মেথি বীজ শুধু একটি নয়, চুলের অনেক উপকার দেয়। এটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য, অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এবং ফ্ল্যাভোনয়েড পাওয়া যায়। এগুলি মাথার ত্বকের জ্বালা উপশম করে, খুশকি দূর করে।
বিভিন্ন উপায়ে চুলে সর্ষের তেল লাগানো যায়। এক কাপ দইয়ে এক চামচ সর্ষের তেল মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করা যায়। এই হেয়ার মাস্ক চুলে লাগালে চুলে উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে প্রাণহীন চুলে উজ্জ্বলতা দেখা যায়।
দই, মধু, অ্যালোভেরা এবং সর্ষের তেল মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করা যায়। এই হেয়ার মাস্কটি আপনার মাথায় আধা ঘণ্টা রাখুন এবং তারপর ধুয়ে ফেলুন।