20 MAY, 2025
BY- Aajtak Bangla
লিভার আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা খাবার হজম করতে, বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করতে এবং শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে যা বারবার পেটে প্রবেশ করলে ধীরে ধীরে লিভার দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আসুন জেনে নিই কোন কোন খাবারকে লিভারের শত্রু বলা হয় এবং যেকোনো মূল্যে এড়িয়ে চলা উচিত।
চিপস, বিস্কুট এবং প্যাকেটজাত খাবারের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারে কৃত্রিম রঙ, প্রিজারভেটিভ এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে। এই জিনিসগুলি লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে বাধা দেয় এবং প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। এগুলো নিয়মিত খেলে লিভারের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, সিঙ্গারা এবং তৈলাক্ত খাবারের মতো খাবারে উচ্চ পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এগুলোর অতিরিক্ত ব্যবহার লিভারে চর্বি জমা করে, যাকে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বলা হয়।
এই অবস্থা লিভারের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে এবং দীর্ঘমেয়াদে সিরোসিসের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
রেড মিট এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস যেমন সসেজ এবং বেকনে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল বেশি থাকে। এগুলোর অত্যধিক ব্যবহার লিভারে চর্বি জমা এবং প্রদাহকে উৎসাহিত করে, যা ধীরে ধীরে লিভারের কার্যকারিতা দুর্বল করে দেয়।
অতিরিক্ত নুন গ্রহণ, যেমন টিনজাত স্যুপ, ফাস্ট ফুড বা স্ন্যাকসে, লিভারের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এটি রক্তচাপ বাড়ায় এবং লিভারে ফুলে যেতে পারে। অতিরিক্ত নুন লিভারের ডিটক্স প্রক্রিয়াকেও প্রভাবিত করে।
সোডা, এনার্জি ড্রিংকস এবং মিষ্টিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ থাকে। লিভার ফ্রুক্টোজকে চর্বিতে রূপান্তরিত করে, যা লিভারে জমা হতে পারে এবং নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগের কারণ হতে পারে। এছাড়াও, বেশি চিনি গ্রহণ ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা লিভারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
Disclaimer: এই খবরটি শুধুমাত্র আপনাকে সচেতন করার জন্য লেখা হয়েছে। এটি লেখার সময় আমরা ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের সাহায্য নিয়েছি। যদি আপনি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু পড়েন, তাহলে অবশ্যই তা গ্রহণ করার আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।