30 SEPTEMBER 2024

BY- Aajtak Bangla

শরীরে কখনও রক্তের অভাব হবে না, সকালে জলে ভিজিয়ে খান এই জিনিসটি

মুনাক্কা বা কালো কিশমিশ একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর শুকনো ফল। এই সুপারফুডটি শুধু সুস্বাদু নয়, অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও সমৃদ্ধ।

কিন্তু আপনি কি জানেন কিশমিশ এবং এর জল শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করতে খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।

 এমনকি আয়ুর্বেদেও কিশমিশকে অনেক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কিশমিশ কীভাবে শরীরে রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে এবং এটি আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।

কিশমিশ আয়রনের খুব ভালো উৎস। আয়রন হিমোগ্লোবিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা শরীরের অনেক অংশে অক্সিজেন পরিবহন করে।

 নিয়মিত কিশমিশ  খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয় এবং রক্তশূন্যতার সমস্যাও দূর হয়।

কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি এবং বদহজমের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এটি অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ থেকেও রক্ষা করে।

কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম পাওয়া যায় যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি কমে।

কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি ঘুমের মান উন্নত করে এবং বিষণ্নতা প্রতিরোধ করে।

আয়রন ছাড়াও ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের মতো আরও অনেক পুষ্টি উপাদানও কিশমিশে পাওয়া যায়। এই পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

রাতে কিছু কিশমিশ  ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই জল ছেঁকে  করে খালি পেটে পান করুন। আপনি চাইলে এতে কিছু মধুও যোগ করতে পারেন। এটি রক্তশূন্যতা দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায়।

সকালের ব্রেকফাসটে  দইয়ের সঙ্গে কিছু কিশমিশ মিশিয়ে খেতে পারেন। ডালিয়া, ওটস বা অন্যান্য শস্যের সঙ্গে  মিশিয়েও কিশমিশ খাওয়া যেতে পারে। এটি আপনার সকালের ব্রেকফাস্টকে  আরও সুস্বাদু করে তুলবে।

কিশমিশের চাটনিও বানাতে পারেন। রুটি বা পরোটার সঙ্গে  খেতে পারেন। আপনি আপনার সালাডে  কিশমিশও রাখতে পারেন। এটি আপনার সালাডে  মিষ্টি স্বাদ দেবে।